দল ঘোষণার জন্য সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ইরান ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দল ঘোষণা করে দেশটি। দলে সুযোগ পেয়েছেন সম্প্রতি ইরানজুড়ে চলা নারী অধিকার আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া সরদার আজমুন।
ইরানের আজমুন জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের হয়ে খেলেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ নেওয়া ইরান দল থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে দলে নিয়েছে কোচ কার্লোস কুইরোজ।
অবশ্য বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও আক্ষেপ থাকতো না আজমুনের। তিনি জানিয়েছিলেন, ইরানে নারীদের অধিকার আদায়ের তুলনায় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া তার জন্য বড় কিছু না।
শেষ পর্যন্ত তাকে দলে রেখেই কাতার বিশ্বকাপে যাচ্ছে ইরান। কাতার বিশ্বকাপে ইরানের প্রথম ম্যাচ ২১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলস।
ইরান স্কোয়াড
গোলরক্ষক- আলিরেজা বেইরানভান্দ (পারসেপোলিস), আমির আবেদজাদেহ (পনফেরাদিনা), সৈয়দ হোসেন হোসেইনি (ইস্তেঘাল), পায়াম নিয়াজমান্দ (সেপাহান)।
ডিফেন্ডার- এহসান হাজসাফি (এইকে এথেন্স), মোর্তাজা পৌরলিগানজি (পারসেপোলিস), রামিন রেজায়েইন (সেপাহান), মিলাদ মোহাম্মদি (এইকে এথেন্স), হোসেইন কানআনজাদেগান (আল আহলি), শোজে খালিলজাদেহ (আল আহলি), সাদেঘ মোহাররামি (ডায়নামো জাগরেব), রৌজবেহ চেশমি (ইস্তেঘাল), মাজিদ হোসেইনি (কায়সেরিসপর), আব্দল ফজল জালালি (ইস্তেঘাল)।
মিডফিল্ডার- আহমেদ নুরল্লাহি (শাদাব আল আহলি), সামান ঘোড্ডস (ব্রেন্টফোর্ট), ভাহিদ আমিরি (পারসেপোলিস), সেইদ ইজাটলাহি (ভিজলে), আলিরেজা জাহানবকশ (ফেয়েনউড), মেহদি টোরাবি (পারসেপোলিস), আলি ঘোলিজাদেহ (শারলেরোই), আলি কারিমি (কায়েসেরিপর)।
ফরোয়ার্ড- কারিম আনসারিফার্দ (ওমোনিয়া নিকোসিয়া), সরদার আজমুন (বায়ার লেভারকুসেন), মেহদি তারেমি (পোর্তো)।