ভারত বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে একটি বাজে আসর কেটেছে। হতাশার এই বিশ্বকাপে টাইগারদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে শেষ দিকে ইনজুরির থাবা। পেসার তাসকিন আহমেদের পুরোনো চোট বিশ্বকাপেরে শেষ দিকে আবারও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আঙুলের চোটে পড়ে আসর শেষ হওয়ার এক ম্যাচ আগেই দেশে ফিরতে হয়। এরপর বিশ্বমঞ্চে শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতেই ঢাকার বিনাম বন্দরে তাকে হাতে ব্যান্ডেজ ফিরতে দেখা যায়। মাহমুদউল্লাহর সেই চোটের কারণেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত তিনি।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হতাশ করেছিল ভক্ত সমর্থকদের। শুধু মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অনন্য। টাইগার ব্যাটাররা যেখানে বিশ্বমঞ্চে ব্যর্থতার ষোলো কলা পূর্ণ করেছেন। সেখানে এই দেশ সেরা ফিনিশার ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন। ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে ব্যাট হাতে ১ সেঞ্চুরি ও ১ হাফসেঞ্চুরিতে ৩২৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এমন টপ ক্লাস পারফরম্যান্স করার পর চোটের কারণে তার দল থেকে ছিটকে যাওয়াটা কিছুটা হতাশারও বটে।
নিউজিল্যান্ডের মাটেতে চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজে মাহমুদউল্লাহ চোট থেকে ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়ে আছে শঙ্কা। এই অলরাউন্ডারের চোটের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি বলেন, “মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ডাইভ দিতে গিয়ে কাঁধে আঘাত পায়। সেটার গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা দীর্ঘ সময় পুনর্বাসনের মধ্যে থাকার ব্যাপারে উপদেশ দিয়েছি।”
বিসিবি চিকিৎসক আরও বলেন, “আপাতত ৪ সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে থাকবে। প্রথম ২ সপ্তাহে পুরো বিশ্রামে রাখব আমরা। এরপরে সে ফিজিওথেরাপি শুরু করবে। বর্তমানে সে ফিজিওথেরাপি শুরুর প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। আমরা ২-৩ সপ্তাহ পরপর রিভিউ করব এবং এরপর নির্দেশনা জানানো হবে।”
এদিকে আঙুলের চোটে দলের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসানও। আসন্ন টেস্ট সিরিজে তাই নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। সাকিবের পরিবর্তে কিউইদের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে নাজমুল হোসাইন শান্তকে। তবে এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আবার মাঠে ফিরতে আরো বেশ কিছু দিন সময় লাগবে বলে জানায় বিসিবি।
দেবাশীষ বলেন, “সাকিবের চোটের ২ সপ্তাহের বেশি হতে চলল। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী আমরা আঘাতের ৩ সপ্তাহের সময় একটি চেক এক্সরে করব। এরপর আমরা আপনাদের অবহিত করতে পারব। এখন সাকিবের ব্যথা কমে এসেছে। তবে এমন ক্ষেত্রে ৩ সপ্তাহ পর চেক করতে হয়। রিভিউ করতে হয়। সেটাই আমরা করব। এক্স রে করে, রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”