• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
প্রথম টেস্ট কাল শুরু

ভারতের প্রতিপক্ষ বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ


তারিক আল বান্না
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম
ভারতের প্রতিপক্ষ বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ
প্রথম টেস্টে নামার আগে শেষদিনের অনুশীলনে সাকিব। ছবি : সংগৃহীত

ভালো দল বলতে বোঝায় ভালো বোলার, ব্যাটার, ফিল্ডার, অলরাউন্ডার, উইকেটকিপারের সমন্বয়। সমন্বয়টা শক্ত ছিল বলেই বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে।  এটা স্বাভাবিক ধারণা। কিন্তু তার সঙ্গে যুক্ত ছিল কঠিন মনোবল। ‘জিততেই হবে দেশের সম্মানের জন্য’- এমনই একটা দৃঢ় মনোভাব। ‘আমরাও পারি’- এমন কঠিন বিশ্বাস। সবমিলে যাকে বলাই যায় দেশপ্রেম।

সবাই দেখেছে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা অনেকেই পাকিস্তান সফরের প্রাপ্ত অর্থ পুরস্কারের টাকা বিলিয়ে দিয়েছেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে কিংবা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদেরকে। এই মনোভাবই দেশপ্রেম। এটা খেলার মাঠেও যদি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়, ফলাফল আসবেই।

ভারত বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। বিশেষ করে টেস্টে তো তাদের তুলনাই হয় না। সেই টেস্টে ১৩ ম্যাচে বাংলাদেশ এখনো জয় পায়নি ভারতের বিপক্ষে। কিন্তু বাংলাদেশ তো ওয়ানডেতে ৮ বার জয় পেয়েছে ২ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে। একবার হলেও জিতেছে ২ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে। তাহলে টেস্টে কেন নয়? ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির মধুর স্মৃতি এবং পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের প্রেরণাকে নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাঠে নামলে ভারতকে টেস্টে হারানো সম্ভব।

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় বাংলাদেশের প্রত্যাশা বেড়েছে ভারতের বিপক্ষেও। সফরে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে। প্রথম টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়াবে চেন্নাই স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়।

রোববার ভারতে যাত্রার প্রাক্কালে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ বেশিরভাগ ম্যাচে শেষ দিনে গিয়ে ফলাফল হয়। তাই শেষদিন পর্যন্ত খেলা নিতে পারলে আমাদের হয়তো একটা সুযোগ থাকবে। আশা, ভালো কিছু হবে।’

তবে ভারতে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে অন্য চ্যালেঞ্জ। সেটা অপরিচিত ‘এসজি বল’। বলটি প্রসঙ্গে লিটন দাস সেদিন বলেন, ‘এসজির নতুন বল খেলা সহজ হলেও পুরাতন বল কিন্তু খেলা কঠিন। আমরা মানিয়ে নিতে চেষ্টা করবো।’

দু’দলের সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর শেরে বাংলায়। তাতে ভারত অতিকষ্টে মাত্র ৩ উইকেটে জয়লাভ করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের ওই টেস্টে বাংলাদেশ দুই ইনিংসে ২২৭ ও ২৩১ রান করে। আর ভারত ৩১৪ এবং ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে। সেই টেস্টে  যারা খেলেছিলেন, তাদের অনেকেই এবার রয়েছেন দু’দলেই। যাদের মধ্যে বাংলাদেশ দলের সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলামের নাম উল্লেখযোগ্য। আর ভারতের বিরাট কোহলি, শুভমান গিল, রিশভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বীন, মোহাম্মাদ সিরাজ, লোকেশ রাহুল, অক্ষর প্যাটেল প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।

এখন সাকিব-মুশফিকদের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বাংলাদেশ। আরও একটা ভালো কিছু দেখতে চায় তারা। গোটা দেশের মানুষের আশা, দেশপ্রেমে বলিয়ান ও বদলে যাওয়া আত্মবিশ্বাসী দলটি পাকিস্তানের পর ভারতেও ভালো কিছু করুক। 

 

Link copied!