তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ওপেনিং ব্যাটার। হয়তো এখন দলে নেই। তারপরও দলের খোঁজ-খবর নেওয়া কিংবা অজি ক্রিকেটারদের পরামর্শ দেওয়া তো বন্ধ নেই ডেভিড ওয়ার্নারের।
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শুরুর আগে সুবিধা পেয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের কাছে রোহিত শর্মাদের হারই প্যাট কামিন্সদের সুবিধা করে দেবে বলে মনে করেন ওয়ার্নার। ঘরের মাঠে হেরে কোণঠাসা রোহিতদের আরও চেপে ধরার এটাই সেরা সুযোগ বলে মত তার। কামিন্সদের পরামর্শ দিয়ে তার বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও রোহিত, বিরাট কোহলিরা অস্বস্তিতে পড়বেন।
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-ভারত পাঁচ টেস্টের সিরিজ। পার্থে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দল। ওয়ার্নার মনে করেন, নিউজিল্যান্ডের কাছে হারায় ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খেয়েছে। যা কামিন্সদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে আসন্ন সিরিজে।
ওয়ার্নার বলেছেন, ‘রিশভ পান্ত ছাড়া ভারতের আর কোনও ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে রান পায়নি। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, নাথান লায়নেরা ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারে। ভারত ঘরের মাঠে ০-৩ ব্যবধানে হেরে অস্ট্রেলিয়ায় আসছে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। অস্ট্রেলিয়ার হাতে বিশ্বমানের ফাস্ট বোলার এবং স্পিনার রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাপে থাকবে ভারতের ব্যাটাররা। ওদের আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গায় নেই। অস্ট্রেলিয়ায় ওদের অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’
নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্সেরও প্রশংসা করেছেন গত জানুয়ারিতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ওপেনার। ওয়ার্নার বলেছেন, ‘ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমার নজর ছিল। প্রথম টেস্ট থেকেই ভাল খেলেছে কিউইরা। বেঙ্গালুরুতে ওরা কয়েকটা দারুণ ক্যাচ নিয়েছিল। তাতে ওদের দলের ছন্দ তৈরি হয়ে যায়। ভাল পারফর্ম করে সিরিজে এগিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বাকি সিরিজেও ছন্দটা ওরা নষ্ট হতে দেয়নি। আমি জানি, ভারতের মাটিতে টেস্ট জেতা কতটা কঠিন। তাই নিউজিল্যান্ডের এই কৃতিত্ব অসাধারণ।’
ভারতের মাটিতে টম লাথামের দল ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতবে, তা ভাবেননি কোনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। প্রথমত, ২০১২ সালের পর ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারেনি ভারত। দ্বিতীয়ত, এর আগে এ দেশে মাত্র দু’টি টেস্ট জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। স্বভাবতই লাথামদের সাফল্য অনেককেই বিস্মিত করেছে।