প্রায় এক বছর পর ভারতীয় দলে ফিরল পেসার যশপ্রীত বুমরা। আর এই সিরিজে ফিরল ভারতীয় অধিনায়ক হয়ে। তার অভিষেক অধিনায়কত্বটা রাঙিয়ে রাখল জয় দিয়ে। বুমরার বোলিং দেখে মনে হয়নি যে প্রায় এক বছর পর মাঠে নেমেছেন। ভারতীয় পেসার ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছে ২ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচসেরাও। তার প্রত্যাবর্তন ম্যাচে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ২ রানে হারিয়েছে ভারত। তিন ম্যাচ সিরিজে ভারত এগিয়ে গেল ১-০তে।
ডাবলিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের শুরুটা বল হাতে করেন বুমরাহ। ইনিংস শুরুর বলে তাকে বাউন্ডারি হাঁকান অ্যান্ডি বালবির্নি। কিন্তু পরের বলেই দারুণ সুইংয়ে বোকা বানিয়ে বালবির্নিকে যেভাবে বোল্ড করেছেন, তাতে বোঝার উপায় নেই ১১ মাস বিশ্রামে থাকা কোনো পেসার বল করতে নেমেছেন। শুধু বালবির্নিকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি বুমরাহ, একই ওভারে তুলে নেন লরকান টাকারের উইকেটও।
বুমরাহর পর উইকেট উৎসবে যোগ দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ভারতের হয়ে এ ম্যাচে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে। পরপর দুই ওভারে আক্রমণে এসে এ পেসার তুলে নেন হ্যারি টেক্টর ও জর্জ ডকরেলের উইকেট। দুই পেসারের সঙ্গে উইকেট উৎসবে যোগ দেন রবি বিষ্ণোইও। তাতে মাত্র ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। এ ছয় ব্যাটারের মধ্যে কেবল দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছিলেন পল স্টার্লিং ও মার্ক অ্যাডায়ার। স্টার্লিং ১১ বলে ১১ ও অ্যাডায়ার ১৬ বলে ১৬ রান করেন। দুজনকেই ফেরান বিষ্ণোই।
তবে শেষ দিকে মিডল অর্ডার ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফারকে সঙ্গ দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন টেলএন্ডার ব্যাটার ব্যারি ম্যাকার্থি। ক্যাম্ফার ৩৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হলেও ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ম্যাকার্থি। ৩৩ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৩৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। ভারতের হয়ে বুমরাহ-প্রসিধ কৃষ্ণা ও রবি বিষ্ণোই দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
জবাব দিতে নেমে দাপটের সঙ্গেই শুরুটা করেছিল ভারত। দুই ওপেনার যসস্বী জয়সওয়াল ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড় পাওয়ার প্লেতে দলকে এনে দেন ৪৫ রান। সপ্তম ওভারে এসে লাগাম টেনে ধরেন ক্রেগ ইয়ং। পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরান জয়সওয়াল ও তিলক বার্মাকে। তাতে আয়ারল্যান্ড লড়াইয়ে ফেরার বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি এসে সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয়। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টির কারণে মাঠ খেলার উপযোগী না হওয়ায় ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তুলে নেওয়ার ফল হিসেবে এগিয়ে থেকে বৃষ্টি আইনে ২ রানের জয় পায় ভারত।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ২০ আগস্ট।