আগামী শুক্রবার থেকে মুম্বাইয়ের ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচ। ভারতের কাছে এই ম্যাচ এখন মাস্ট উইন। কারণ সিরিজ হেরে গেলেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে গেলে এই ম্যাচে জিততেই হবে রোহিতদের। এরপরও অবশ্য আরও একাধিক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে জিততে হবে বিরাট কোহলিদের।
বেঙ্গালুরুতে অধিনায়কের একটা ভুল সিদ্ধান্তই কার্যত টেস্ট হারের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর পুণেতে স্পিনিং ট্র্যাকে খেলতে নেমে কিউইদের জন্য পাতা ফাঁদে নিজেরাই পা দিয়ে টেস্ট হেরে বসেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। মনে করা হয়েছিল সেই ভুল থেকেই হয়ত শিক্ষা নেবে ভারত, কিন্তু কোথায় কি? আবারও স্লো উইকেট চায় ভারত।
এরই মধ্যে মনে করা হয়েছিল, গত ম্যাচে ২০বারের মধ্যে ১৯বারই কিউই স্পিনারদের হাতে আউট হওয়া ভারতীয় দল হয়ত আর মুম্বাইতে স্পিনিং ট্র্যাক চাইবেন না। কারণ বিরাট থেকে রোহিত, কিংবা সরফরাজ, গিল, স্পিন খেলার ক্ষেত্রে তাদের যে দুর্বলতা সেটা চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। যদিও শোনা যাচ্ছে, মুম্বাইয়ের ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটরের কাছে স্লো টার্নার পিচেরই আবেদন জানিয়েছে ভারত।
ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত লালমাটির হয়ে। সেক্ষেত্রে উইকেটে এমনিতেই বাউন্স থাকে। সেই সঙ্গে যদি প্রথম দিন থেকেই ভারতীয় দলের চাহিদা মতো বল টার্ন হওয়া শুরু করে তাহলে টস বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। কারণ দুই দলই চাইবে উইকেট কিছুটা স্পোর্টিং থাকতে থাকতেই প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে যাতে রান তুলে নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে টস জিতলে ব্য়াটিং নিতে চাইবে দুই দলই।
ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ অবশ্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কাছে বেশ পছন্দের। কারণ এখানে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন অশ্বিন। তারই মধ্যে তুলে নিয়েছেন ৩৮টি উইকেট, গড় ১৮.৪২। রবীন্দ্র জাদেজা এই মাঠে একটি ম্যাচে নেমে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ফলে ডানহাত- বাঁহাত স্পিনিং কম্বিনেশনেই চেনা ছক মেনেই আবারও স্লো উইকেটেই কিউইদের হারানোর লক্ষ্যে ভারত।
ম্যাচের দুদিন আগেও পিচে তেমন ঘাসের দেখা পাওয়া যায়নি। ম্যাচের আগে পিচে হাল্কা পানি দেওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ রোদে পিচকে শুকনো করার জন্য খুলে রাখা হয়েছে।