এবারের বিশ্বকাপে ভারতকে রুখবে কারা। রোহিত শর্মার দল ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে যাদের মুখোমুখি হচ্ছেন তাদের স্রেফ উড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশ্বকাপে টানা ৬ ম্যাচ জিতে টেবিল টপার ভারত। ম্যান ইন ব্লুরা নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ম্যাচে ইংলিশদের উড়িয়ে দিয়ে ১০০ রানের জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
লক্ষ্ণৌতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২২৯ রান তোলে ভারত। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা এই ম্যাচেও ধরে রাখে ইংল্যান্ড। শেষপর্যন্ত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ৩৪ ওভার ৫ বলে ১২৯ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়।
ইংল্যান্ডের খেলা দেখলেকে বলবে এই দলটাই ২০১৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এবারের বিশ্বকাপে তাদের প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতা প্রদর্শন চলছে। ভারতের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহম্মাদ শামির বোলিং তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটার দ্রুত ফিরে যান। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংলিশরা। এতেই জস বাটলারের দলের হার যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এদিন ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে লিয়ান স্টোনের ব্যাটে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ডেভিড মালান ও ডেভিড উইলি। এই দুই জনের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। ভারতের হয়ে শামি ৭ ওভার বল করে ৪ উইকেট শিকার করেন। আর বুমরাহ নেন ৩ উইকেট।
এর আগে, লক্ষ্ণৌতে টস জিতে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান রোহিত শর্মাদের। এদিন স্বাগতিকরা ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০ রান করতেই হারায় ৩ উইকেট। যার শুরুটা হয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ক্রিস ওকস ভারতীয় ওপেনার শুবমান গিলকে বোল্ড আউট করে ফেরালে। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। এরপর বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি ৯ বল খেলে ডাক মেরে ফিরেছেন। এটি বিশ্বকাপে কোহলির প্রথম ডাক।
কোহলির বিদায়ের পর চারে নামা শ্রেয়াস আইয়ারও উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি। আইয়ার ৪ রান করে ক্রিস ওকসের শিকার হয়ে ফিরেছেন। তিন উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা ভারত লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক রোহিত। দুই জন মিলে চতুর্থ উইকেটে ৯১ রান যোগ করেন। এদিন থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি রাহুল। ৫৮ বলে ৩৯ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরের ফেরান ডেভিড উইলি।
ভারতীয় ব্যাটাররা মাঠে নেমে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন কিন্তু অন্যপ্রান্তে ঠিকই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু তাকেও থামতে হয়েছে আদিল রশিদের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান। রোহিতের বিদায়ের পর ভরসা জোগাতে পারেনি রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ৮ রান করে আদিল রশিদের শিকার হয়ে ফিরেছেন।
এরপর সূর্যকুমার যাদবের চেষ্টায় দুইশত রান পার করে ভারত। সূর্যকুমারের ব্যাটে চড়ে ২৫০ রানের স্বপ্ন দেখছিল ম্যান ইন ব্লুরা। কিন্তু ডেভিড উইলির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করে এই ব্যাটার ফিরলে সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে শেষ দিকে জাসপ্রিত বুমরাহর ১৬ রানের ক্যামিওতে ইংল্যান্ডকে ২৩০ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন উইলি। এছাড়া ওকস ও রশিদের শিকার দুটি করে।