ব্রিসবেনে বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রস্তুতি ম্যাচের একটি বলও। একই দৃশ্য দেখা মিলতে পারে সুপার টুয়েলভে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে। আর এই ম্যাচের একটি বলও মাঠে না গড়ালে আইসিসির ক্ষতি হতে পারে ৭ মিলিয়ন ডলার। এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের বৃষ্টির বিষয়টি বেশ নিয়মিত। এরই রেশ পড়তে পারে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। টুর্নামেন্টের এই ম্যাচের টিকিট সবার আগে বিক্রি হয়েছিল। এই ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করতে মেলবোর্নের টিকিট কেটেছে প্রায় ১ লাখ দর্শক।
শুধু মাঠে বসে উপভোগ করা নয়, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ টিভি পর্দায় উপভোগ করতে চান আরও প্রায় ২৫০ মিলিয়ন লোক। প্রতিনিয়তই বাড়ছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দর্শক সংখ্যা।
২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তান টিভি পর্দায় উপভোগ করেছিলেন প্রায় ২২৯ মিলিয়ন দর্শক। এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসরেও এই ম্যাচ উপভোগ করতে টিভি পর্দার সামনে বসেছিলেন ২২৫ মিলিয়ন দর্শক।
তাই যেভাবেই হোক, এই ম্যাচ মাঠে আয়োজন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আইসিসি। ম্যাচ যদি কোনো ভাবে ১০ ওভারের কম হয়, তাহলে আইসিসির ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকবে। অন্তত ১০ ওভার খেলা হলে আইসিসি তাদের ৭ মিলিয়ন রাজস্ব হারাবে। কারণ, ১০ ওভারের কম খেলা হলে দর্শকদের তাদের টিকিটের অর্থ ফেরত দিতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া বিভাগ অবশ্য দর্শকদের জন্য কোনো সুখবর দিতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। তাতেই খেলা পণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।
শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো। সুপার টুয়েলভ শুরুর দিন থেকে পরের চারদিনে এই দুই রাজ্যে ১০০ মি.মি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলেও জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নয়, পণ্ড হওয়ার শঙ্কায় আছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচও। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হতে যাওয়া এই ম্যাচও দর্শকদের চাহিদার তুঙ্গে রয়েছে। এই ম্যাচ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড অবশ্য বৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রাখতে চাননা। তিনি বলেন, “বৃষ্টি হলে খেলায় ব্যাটিং অর্ডারে আসতে পরিবর্তন। আমরা এখন তা নিয়েই ভাবছি।”