নিজেদের ইচ্ছে মতো পিচ তৈরি করেও ভারতের বিপক্ষে তা থেকে কোনো ফায়দা নিতে পারছে না স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দল। পার্থে শনিবার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলাশেষে ভারতের বিনা উইকেটে ১৭২ রান করা এবং ২১৮ রানে এগিয়ে থাকাই তার বড় প্রমাণ।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ থেকে সাদা বলের মেজাজে টেস্ট খেলছিল গৌতম গম্ভীরের দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। লাল বলকে প্রাপ্য সম্মান দিয়েই যশস্বী জসওয়াল ও লোকেশ রাহুল ওপেনিং জুটিতে দিনশেষে অপরাজিত থাকলেন।
শুক্রবার দু’দলের ব্যাটারদের খেলা দেখে ম্যাথু হেডেন বলেছিলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে কী শট মারব, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন বল ছাড়ব তা বুঝতে পারা।’ একটুও ভুল বলেননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ওপেনার।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস ১০৪ রানে শেষ হওয়ায় যশপ্রীত বুমরাহ’র দল ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড নেয়। ভারত প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও ৪৬ রানে লিড নিতে সক্ষম হয়। অলৌকিক কিছু না ঘটলে ভারত বিশাল লিড নিচ্ছে, সে কথা বলেই ফেলা যায়।
পার্থের ২২ গজে শনিবার প্রথম দিনের মতো সবুজ ছিল না। শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে ঘাস। পিচের রং কিছুটা ধুসর দেখিয়েছে। নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ঘাসের উপর প্যাট কামিন্স, জশ হেজলউডদেরও খানিকটা নিস্তেজ দেখাল। ভারতকে বেকায়দায় ফেলেও সুবিধা ধরে রাখতে না পারার হতাশা স্পষ্ট ছিল কামিন্সদের চেহারায়। সেই সুযোগ নিখুঁত ভাবে কাজে লাগালেন ভারতের দুই ওপেনার। জুতসই বল পেলে যশস্বী যেমন পুল করতে দ্বিধা করেননি, তেমন ভাল বল ছেড়ে দিয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারের জন্য। রাহুল ছিলেন আরও সতর্ক। ঝুঁকিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন সারাক্ষণ।
এরআগে প্রথম দিনের ৭ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ৩৭ রান যোগ হতেই তাদের বাকি তিন উইকেটের পতন ঘটে। মিচেল স্টার্ক ২৬ রান করেন বলেই দলটি ১০০ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়।
ভারতের যশস্বী অপরাজিত ৯০ রানে। রাহুল খেলছেন ৬২ রানে। ম্যাচের এখনও তিন দিন বাকি। এখন দেখার বিষয়, ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংস কোথায় নিয়ে ঠেকায় এবং কত রানের টার্গেট দেয় অজিদের।