• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের প্রহর গুনছে ভারত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের প্রহর গুনছে ভারত
উইকেট লাভের পর উইলিয়ামকে ঘিরে কিউই সতীর্থদের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত

বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারত প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ৪০২ রান করে সফরকারী দল নিউজিল্যান্ড। ফলে ৩৫৬ রানে এগিয়ে যায় কিউইরা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ৪০০ রান করার সময়েও ভারতের হাতে ছিল ৭ উইকেট। অথচ, এর পর দিনশেষে দর্শকরা দেখলো তিন ম্যাচের প্রথম টেস্টের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় চলে গেছে নিউজিল্যান্ডের অনূকূলে।  

ঋষভ পান্তের ৯৯ আর সরফরাজ খান যখন ১৫০ রানে ফিরে যান তখনও আশা হারায়নি ভারত। নতুন বলে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা কিছুটা সুবিধা করলেও সেটা ভারতকে এতটাই গুটিয়ে দেবে তা ভাবেননি কেউই। রোহিত শর্মার ৫২, বিরাট কোহলির ৭০, ঋশভ পান্তের ৯৯ রানের পর সরফরাজ খানের ১৫০ রানের সুবাদে লিড পেয়ে যায় ভারত।

যদিও এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো ভারতের ইনিংস। ৪ উইকেটে ৪৩৩ রান থেকে ৪৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায় রোহিতরা।  আর এতে ভারত মাত্র ১০৬ রানে এগিয়ে থাকতে পেরেছে। এখন পঞ্চম ও শেষ দিনে মাত্র ১০৭ রান করতে পারলেই সিরিজে এগিয়ে যাবে টম লাথাম বাহিনী।   

ভারত চতুর্থ দিন শনিবার খেলতে নামে ৩ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে। রিশভ পান্ত ও সরফরাজ যোগ করেন ১৭৭ রান। সরফরাজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। পান্তও ছুটছিলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরির দিকে। তাদের ব্যাটে ভর করেই লিড পায় ভারত। ৮০ ওভার শেষে আসে নতুন বল। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের শেষ ধসও নামে সেখান থেকেই।

৪০৮ রানের সময় সরফরাজ আউট হলে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ৪৩৩ রানের সময় ব্যক্তিগত ৯৯ রানে ফেরেন পান্ত। ম্যাট হেনরির বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন পান্ত।  

উইলিয়ামের খাটো লেন্থের বলে আউট হলেন লোকেশ রাহুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এক ওভার পর ফের উইলিয়ামের আঘাতে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফিরেছেন হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। তার বলেই আউট হন জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেই বৃষ্টির মুখে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪ বল করার পরেই আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন ফিল্ড আম্পায়াররা। এরপরেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চতুর্থ দিনের খেলা আর মাঠে গড়ায়নি।  

Link copied!