ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাবর আজম বলেছিলেন রেকর্ড করা হয় ভাঙার জন্য। কিন্তু সেই রেকর্ড ভাঙা হলো না পাকিস্তানের। বিশ্বকাপে এর আগে ৭ দেখায় সবগুলো ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। এবার তারা চেয়েছিল সেটা ৭-১ করতে। কিন্ত তা আর হলো না। ফলাফল হয়ে গেল ৮-০। এবার পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। আহমেদাবাদে পাকিস্তানের দেওয়া ১৯২ রানের টার্গেট ৩০ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় রোহিত শর্মার দল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জাসপ্রীত বুমরাহ।
পাকিস্তানের দেওয়া ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা। দুই ম্যাচ পর দলে ফেরা শুভমান তার রানের খাতা খোলেন বাউন্ডারির মাধ্যমে। ভালো শুরুর আভাস দিলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ওপেনার।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শাহিন আফ্রিদির করা ফুল লেংথের বলটি তুলে মারার চেষ্টায় ব্যর্থ হন তিনি। ব্যাকওয়াড পয়েন্টে শাদাব খানের হাতে ধরা পড়ার আগে করেন ১১ বলে ১৬ রান। ভাঙে ১৭ বলে ২৩ রানের জুটি।
তিনে নেমে রোহিতের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। তবে বিরাট থেমেছেন ১৬ রানে। হাসান আলিকে মিড অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে।
গিল ও কোহলি রান না পেলেও দলকে তা টের পেতে দেননি রোহিত শর্মা। এই অভিজ্ঞ ওপেনার এক প্রান্তে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর দিয়ে রীতিমতো ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন মাত্র ৩৬ বলে। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে থাকতেই বিদায় নেন ভারতীয় অধিনায়ক। ৬৩ বলে ৮৬ রান করা রোহিতকে ফেরান শাহীন।
এরপর ভারতের হয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। এই দুইজন মিলে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। শ্রেয়াস ৫৩ ও রাহুল ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে সফল বোলার শাহীন আফ্রিদি। তার ঝুলিতে ২ উইকেট।
এরআগে, টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪১ রান। মোহম্মাদ সিরাজের ব্রেক থ্রুতে বিদায় নেন ২০ রানে থাকা শফিক। এরপর দলীয় স্কোরবোর্ডে ৩২ রান যোগ করতেই বিদায় নেন পাকিস্তানের আরেক ওপেনার ইমাম ইল হক। ৩৬ রান করা এই বাঁ হাতি ব্যাটারকে ফেরান হার্ডিক পান্ডিয়া।
এরপর বাবর আজমের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এর মাঝেই ফিফটি করে ফেলেন বাবর। তবে এরপরই বিদায় পাকিস্তান অধিনায়কের। ৫০ রান করা বাবরের উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সিরাজ। দলীয় রান তখন ১৫৫।
তার বিদায়ের পরই ছন্দপতন ঘটে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। ১৬ রান যোগ করতেই নেই পাকিস্তানের আরও চার উইকেট। যার শুরুটা হয় ৬ রান করা সৌদ শাকিলের বিদায়ে। কুলদীব যাদব নেন তার উইকেট। ৩২ ওভারে দ্বিতীয় বলে শাকিলকে তুলে নেওয়া কুলদীপ, ঐ ওভারের শেষ বলে তুলে নেন চার রানে থাকা ইফতেখার আহমেদের উইকেট। পরের ওভারেই হাফসেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকা রিজওয়ানকে প্যাভিলিয়নের পথটা দেখান জাসপ্রীত বুমরাহ। উইকেটে থিতু হবার আগেই ফিরেন দলের সহঅধিনায়ক সাদাব খান। ২ রান করা সাদাবের উইকেটটাও তুলে নেন বুমরাহ।
দারুণ খেলতে থাকা পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে হঠাৎ কল্পাস, শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি তারা। শেষ তিন ব্যাটসম্যান যোগ করে মাত্র ২০ রান। যেখানে ১২ রান হাসান আলীর। ভারতের হয়ে বুমরাহ-যাদব-পান্ডিয়া-সিরাজ ও জাদেজা সবাই নেন দুইটি করে উইকেট।