অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিল ভারত। হায়দ্রাবাদে ১-১ সমতায় থাকা সিরিজের শেষ ম্যাচ হয়ে ওঠে অলিখিত ফাইনাল। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ জিতে নেয় ভারত।
টস জিতে ভারত প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। টিম ডেভিডের ৫৪ ও ওপেনার ক্যামেরন গ্রিনের ৫২ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রানে উইকেট হারায় ভারত। ওপেনার লোকেশ রাহুল ফিরে যান ব্যক্তিগত ১ রানে। আরেক ওপেনার ও দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও দলের ৩০ রানে ফেরেন। দুই ওপেনারের ব্যর্থতার পর হাল ধরেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব। সূর্যকুমার ৩৬ বলে ঝড়ো গতির ৬৯ রান করেন। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৬৩ রান। এই দুই ব্যাটার মূল ভুমিকায় থাকলেও তাদের বিদায়ের পর বাকি কাজ সারেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ১৬ বলে অপরাজিত ২৫ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। মাত্র ১ বল হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করে ভারত।
এই জয়ের ফলে পাকিস্তানের এক বছরে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড ভেঙ্গে নিজেদের দখলে নিয়েছে ভারত। চলতি বছর ভারতের এটি ২১তম টি-টোয়েন্টি জয়। গত বছর ২৯ ম্যাচ খেলে ২০ ম্যাচে জিতেছিল পাকিস্তান। এবার তাদেরকে ছাড়িয়ে ২১ ম্যাচে জয় পেয়েছে রোহিতরা। যা এক বছরে সর্বোচ্চ জয়ের বিশ্বরেকর্ড।
দিনের অন্য ম্যাচে পাকিস্তানও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে সাত ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩ রানে জয় পেয়েছে বাবর আজমরা।
করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর দুজন মিলে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। দলের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ৯৭ রানে। অধিনায়ক বাবর ২৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন। রিজওয়ান শান মাসুদকে সাথে নিয়ে রানের গতি সচল রাখেন। ১৪৯ রানে শানও এলবিডব্লিউ`র ফাঁদে পড়ে বিদায় হন। তবে রিজওয়ান ৬৭ বলে ৮৮ রানের ইনিংস উপহার দেন। তাদের ইনিংস থামে ৪ উইকেটে ১৬৬ রানে।
জবাবে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। মাত্র ৮ রানে ওপেনার ফিল সল্ট বিদায় হন। আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলসও ফেরেন দলের ১৩ রানে। এক রানের ব্যবধানে উইল জ্যাকসও ফিরলে বেশ বিপদে পড়ে ইংলিশরা। প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক। তবে তাদের প্রতিরোধ দলকে পরাজয় থেকে এড়াতে পারেনি। মঈন আলি ও লিয়াম ডোসনের অবদানে ১৬৩ রানে থামে তাদের ইনিংস। পাকিস্তান জয় পায় ৩ রানে।