• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

না ফেরার দেশে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক পিন্টু


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০১:০২ পিএম
না ফেরার দেশে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক পিন্টু

হৃদযন্ত্র, কিডনি, লিভারের অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সকালেই জানা গিয়েছিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ও বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু।

রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তী এই ফুটবলার। ৮১ বছর বয়সে জাকারিয়া পিন্টু বার্ধক্য ও নানা রোগে ভুগছিলেন। 

এর আগে, রোববার বাসায় আকস্মিকভাবে পড়ে যাওয়ায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। 

তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। কিংবদন্তী এই ফুটবলারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে।

বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে দিয়েছিলেন জাতীয় দলকে নেতৃত্ব। স্বাধীনতা অর্জনের আগে মুক্তিযুদ্ধে তহবিল যোগাড়ে দেশের ভারতে প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ খেলে বেড়িয়েছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। সেই দলের অধিনায়কও ছিলেন এই জাকারিয়া পিন্টু।

কোনো দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ফুটবল দলের এমন অবদান সারাবিশ্বে বিরল। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে যুদ্ধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

গতকাল পিন্টুকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা দোয়া চেয়েছিলেন সতীর্থের জন্য।

মোহাম্মদ জাকারিয়া পিন্টু ১৯৪৩ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন।

মোহামেডানের জার্সিতে ১৯৬০-৭০ এর দশকে মাঠ মাতিয়েছেন জাকারিয়া পিন্টু। বৈষম্যের মধ্যেও তিনি খেলেছেন পাকিস্তান ফুটবল দলে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশে দিয়েছেন জাতীয় দলের নেতৃত্বও।

মাঠের খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর মোহামেডান ক্লাব ও ফেডারেশনের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও।

১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ক্রীড়া বিভাগে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। 

Link copied!