• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সৌরভ-বিরাটের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০২:২২ পিএম
সৌরভ-বিরাটের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে

ইনস্টাগ্রামে ২৭৬ জনকে ফলো করতেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এদের মধ্যেই একজন ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। কিন্তু একজন কমে গেছে বিরাটের ফলোয়িং লিস্ট থেকে। তিনি আর কেউ নন, সাবেক ভারতীয় বোর্ড প্রধান সৌরভ।

শুধু সৌরভ নন, বিরাটের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই ভারতীয় দলের সাবেক কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গেও। কিন্তু দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও কুম্বলেকে এখনো ফলো করছেন কোহলি। তার মানে দাঁড়ায়, সৌরভের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগই চাইছেন না এই ব্যাটিং জিনিয়াস।

সৌরভ-বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। বিষয়টা যেন ছাই চাপা আগুনের মতো। সামান্য বাতাসেই ঠিক বেরিয়ে আসবে। এবার সেই সামান্য বাতাসই যেন দিলেন কোহলি। তার সৌরভকে আনফলো করা আবার নতুন করে ইস্যুতে ইন্ধন জুগিয়েছে।

সৌরভ-কোহলির দুজন দুজনকে এড়িয়ে যাওয়ার একটা ভিডিও দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনাটি গত রোববারের। দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দু‍‍`দলের সদস্যরা একে অন্যের সঙ্গে লাইন ধরে হাত মেলাচ্ছিল। তখন বিরাটকে এড়িয়ে যান সৌরভ। দিল্লির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার হাত মেলান বিরাটের সঙ্গে। সেই সময় ওয়ার্নারের পেছন দিয়ে এগিয়ে যান সৌরভ। তিনি বিরাটকে টপকে ব্যাঙ্গালুরুর অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলানো শুরু করেন। ওয়ার্নারের সঙ্গে হাত মেলানো শেষে পেছন ফিরে সৌরভের দিকে তাকান বিরাট। কিন্তু সৌরভ মনোযোগ দেন ভিন্ন দিকে।

সাবেক ও বর্তমান এই দুই তারকার দ্বন্দ্বের সুত্রপাত ঘটে বছর দেড়েক আগে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কোহলি। টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব স্বেচ্ছায় ছাড়লেও ওয়ানডে’র অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কোহলি। তবে কিছুদিন পর এই সংস্করণ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই।

সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, কোহলিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছিল, তিনি মানেননি। সুতরাং নির্বাচকদের মনে হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়ক রাখার মানে হয় না।

এর সপ্তাহখানেক পর সৌরভকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে কোহলি জানান, তার সাথে আলোচনা না করেই তাকে ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরানো হয়েছে। এর জেরে টেস্ট সংস্করণেরও দায়িত্ব ছাড়েন কোহলি। গত বছরের শেষ দিকে বিসিসিআইয়ের পদ থেকে সরে যেতে হয় সৌরভকেও।

ভারতের ওই সময়ের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা গত ফেব্রুয়ারিতে এক স্টিং অপারেশনে জানান, কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে সৌরভের দায় নেই। রোহিত শর্মাকেও সুযোগ দেননি তিনি। তবে কোহলিকে কখনোই পছন্দ করত না সৌরভ।
 

Link copied!