শেষ ষোলোতে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই এরকম দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হতে হবে এটা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করেনি দক্ষিণ কোরিয়া। রীতিমতো কোরিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন নেইমার-ভিনিশিয়াসরা। প্রথমার্ধেই দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল। বিপরীতে গোল তো দূরের কথা, আক্রমণের সুযোগই পায়নি সনের দল।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্রাজিল। এতে করে গোল পেতেও খুব বেশি দেরী করতে হয়নি ব্রাজিলকে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোলের দেখা পায় সেলেসাওরা।
ডানপাশ থেকে রাফিনহোর দেওয়া অ্যাসিস্টে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিনিশিয়াস জুনিয়র সহজেই লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। গোল পেয়ে যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ব্রাজিল।
মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। ম্যাচের ১০ম মিনিটে রিচার্লিসনকে দক্ষিণ কোরিয়ান ফুটবলার ট্যাকল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। ১২তম মিনিটে ঠান্ডা মাথায় কোরিয়ান গোলরক্ষককে স্রেফ দর্শক বানিয়ে বা পাশ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার।
চার মিনিটের ব্যবধানে গোল শোধের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল কোরিয়া। তবে হং হি-চ্যানের দুর্দান্ত শট কর্ণারের বিনিমিয়ে প্রতিহত করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার।
ম্যাচের বেশিরভাগ সময়েই বল ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার অর্ধে। ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ সামলে আক্রমণ করার খুব বেশি সুযোগই পায়নি দক্ষিণ কোরিয়া।
একের পর এক আক্রমণে ম্যাচের তৃতীয় গোলও তাড়াতাড়িই পেয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে অধিনায়ক থিয়াগো সিল্ভার বাড়ানো বলে সহজেই লক্ষ্যভেদ করে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন রিচার্লিসন। আসরে এই নিয়ে তিন গোল হয়ে গেল তার।
সাত মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোলের দেখা পায় ব্রাজিল! এবার ভিনিশিয়াস জুনিয়রের ডান পাশ থেকে মারা ক্রসে গোলার মতো শটে গোল করেন লুকাস পাকুয়েতা। ৪০ মিনিট পার হওয়ার আগেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল
চার গোল দিয়েও আক্রমোণেড় ধার কমায়নি ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে কোরিয়ার রক্ষণভাগকে। তবে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। ফলে ৪-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেছে সেলেসাওরা।