তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরপুর টেস্ট চলাকালেই তিনি বিসিবির কাছে চিঠি দিয়েছেন, আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি।
শান্তর ইচ্ছাকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। যে কারণে বিসিবির আজকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে বিকেলে হবে গুরুত্বপূর্ণ এই সভা।
শুধু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নয়, বিসিবির সভায় স্থান পেতে পারে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। এর মধ্যে রয়েছে সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গও। শেষ টেস্ট দেশের মাটিতে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব; কিন্তু বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার মাঝপথ থেকেই ফিরে যেতে হয়েছে।
আফগানিস্তান সিরিজ রয়েছে সামনেই। এই সিরিজে ওয়ানডে ফরম্যাটে সাকিব খেলবেন কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে নতুন কোচ ফিল সিমন্সের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের স্থানীয় কোচদের মধ্যে সবচেয়ে সফল, সালাউদ্দিন। এ বিষয়টাও চূড়ান্ত হতে পারে।
তবে বিসিবির সভায় সবার চোখ থাকবে অধিনায়কত্বের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সে দিকে। শোনা যাচ্ছে, বিসিবি শান্তর চাওয়াটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
শান্তকে নেতৃত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলে নতুন অধিনায়ক হবেন কে? আলোচনায়, গুঞ্জনে আছে অনেকের নামই। নেতৃত্বভার নিতে (অবশ্যই টেস্টে) প্রস্তুত বলে নিজেই জানিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বিসিবি কী টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তাইজুলকে বেছে নেবে? যদিও ঘরের মাঠ ছাড়া বিদেশের মাটিতে একাদশেও নিয়মিত নন তাইজুল।
ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়ক হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে তাওহীদ হৃদয়ের নাম। আলোচনায় রয়েছে লিটন দাসের নামও।
বিসিবির সভায় আলোচনা হতে পারে পরিচালনা পর্ষদের শূন্য পদ ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনী সংক্রান্ত উপ-কমিটি গঠন নিয়েও।