আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটের আগামী বছরের আসর নিয়ে এখনও সাসপেন্স বিদ্যমান রয়েছে। ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা পাকিস্তানে গিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না।
এবার পুরো বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সূত্রের মতে, আইসিসি নির্বাহী বোর্ডের সদস্যরা আর্থিক প্রণোদনার প্রতিশ্রুতিতে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এই টুর্নামেন্টের সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
এই জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজতে আইসিসি তার কার্যনির্বাহী বোর্ডের সভা ডেকেছে মঙ্গলবার। একটি সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘পিসিবি হাইব্রিড মডেলের অধীনে ইভেন্টটি আয়োজন করতে প্রস্তুত নয়, তাই এখন এই অচল অবস্থা শেষ করতে তাদের অতিরিক্ত আর্থিক দেওয়া হতে পারে।’
সূত্রটি বলেছে, মঙ্গলবার বোর্ড সদস্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এ বিষয়ে স্পষ্টতা আসবে এবং আগামী বছরের শুরুর দিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোন ফরমাটে খেলা হবে তা প্রকাশে আসবে।
তবে বর্তমানে পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলের বিরোধিতা করছে। ভারত যদি পাকিস্তানে খেলতে রাজি না হলে সেটা তাদের সমস্যা। কারণ বাকি ছয়টি দেশের পাকিস্তানে খেলতে কোনও সমস্যা নেই। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, পিসিবিও জোর দিচ্ছে যে হাইব্রিড মডেলে রাজি হলেও, গ্রুপ (পর্যায়ের) ম্যাচ এবং পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ফাইনাল শুধুমাত্র লাহোরেই হওয়া উচিত। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই ফর্মুলার সঙ্গে একমত নয়।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এখনও পর্যন্ত সময়সূচী বিলম্বের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে এবং হাইব্রিড মডেলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। পিসিবি’র এক কর্মকর্তা বলেছেন, যতই আমরা উদ্বিগ্ন থাকি না কেন, করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির তিনটি স্টেডিয়ামে নির্মাণ কাজ সহ টুর্নামেন্টের সমস্ত প্রস্তুতি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শেষ হবে।
ভারত ও পাকিস্তান ২০১২ সাল থেকে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি। তবে পাকিস্তান গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ সহ আইসিসি টুর্নামেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। গত বছর পাকিস্তান আয়োজিত এশিয়া কাপটিও হাইব্রিড মডেলে পরিবর্তন করা হয়েছিল।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ সংস্করণ জিতেছিল পাকিস্তান।