কিছুদিন আগে পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে এমন সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে এবার শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের দস্যপদ স্থগিত করল আইসিসি। কারণ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ চলবে না। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আইসিসি বোর্ড মিটিং লঙ্কানদের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
বিবৃতিতে আইসিসি বলছে, “আইসিসি বোর্ড সভায় আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।”
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে প্রতিটি সদস্যপদে থাকা দেশগুলোকে যেসব নিয়ম-কানুন মানতে হয়, শ্রীলঙ্কা সেগুলো লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে তারা নিজেদের স্বায়ত্তশাসন ধরে রাখতে পারেনি। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ চলেছে।
বেশকিছু দিন ধরেই শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। একাধিকবার ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন রানাসিংহে। সবশেষ চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার ভরাডুবি ও ভারতের সঙ্গে ৫৫ রানে অলআউট হওয়ার পর ক্রীড়ামন্ত্রী সে সব ক্ষোভ উগড়ে দেন বোর্ডের উপরে। পুরো বোর্ডের সব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন রানাসিংহে। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। তবে এর দুই দিন না যেতেই দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে আগের বোর্ড পুনর্বহাল করা হয়।
ক্রীড়ামন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শাম্মি সিলভা। তার আপিলের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) পূর্ণ শুনানির পর বহিষ্কৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল করেন আদালতের আপিল বিভাগ। আদালতের সিদ্ধান্তে জানানো হয়, দুই সপ্তাহ পুরোনো বোর্ডই বহাল থাকবে।