ক্রিকেট মাঠে ধারাবাহিক নৈপূণ্য দেখানো নারী অলরাউন্ডার নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার তার সাফল্যের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। ব্যাট ও বল হাতে স্বপ্নের মতো এক বছর কাটানোর এই স্বীকৃতি পেয়েছেন অ্যামেলিয়া। নারীদের আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘র্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট ট্রফি’ জিতেছেন এই কিউই নারী তারকা অলরাউন্ডার।
এর আগে, গত বছরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য নারীদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যামেলিয়া। এবার পেলেন আরও বড় স্বীকৃতি; নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে ‘র্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট ট্রফি’ জেতা প্রথম ক্রিকেটার ২৪ বছর বয়সী লেগ স্পিন অলরাউন্ডার অ্যামেলিয়া।
গণমাধ্যম প্রতিনিধি, আইসিসি ভোটিং একাডেমি এবং সমর্থকদের ভোটে নির্বাচিত ২০২৪ সালের সেরা নারী ক্রিকেটারের নাম মঙ্গলবার প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।
সেরার লড়াইয়ে অ্যামেলিয়া হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে।
গত বছর ৯টি ওয়ানডে খেলেন অ্যামেলিয়া। এক ফিফটি ও ৩৩ গড়ে রান করেন ২৬৪ রান। বল হাতে ওভারপ্রতি ৫.১২ রান দিয়ে উইকেট নেন ১৪টি। সেরা বোলিং ৪২ রানে ৪ উইকেট।
২০২৪ সালটা অ্যামেলিয়ার সবচেয়ে ভালো কাটে টি-টোয়েন্টিতে। নিউজিল্যান্ডের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। আসরে ৬ ম্যাচে ২৭ গড় ও ৯০ স্ট্রাইক রেটে করেন ১৩৫ রান। আর বোলিংয়ে ওভারপ্রতি ৪.৮৫ রান দিয়ে উইকেট নেন ১৫টি। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে যা সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে নায়ক হয়ে ওঠেন অ্যামেলিয়া। ৪টি চারে ৩৮ বলে ৪৩ রান করার পাশাপাশি কেবল ২৪ রান দিয়ে ৩টি শিকার ধরেন তিনি। ফাইনালের সেরার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।
সব মিলিয়ে গত বছর ১৮ টি-টোয়েন্টিতে অ্যামেলিয়া করেন ৩৮৭ রান। উইকেট নেন ২৯টি, নারীদের টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে যা সর্বোচ্চ।