এশিয়া কাপ শুরুর আগে আলোচনায় ছিলেন না তিনি। প্রাথমিক স্কোয়াডেও নাম ছিল না। রাখা হয়নি স্ট্যান্ডবাই তিন জনের দলেও। সেই এনামুল হক বিজয় এখন এশিয়া কাপের স্কোয়াডে।
লিটনের অসুস্থতায় দলে জায়গা পাওয়ার কথা ছিল সাইফ হাসানের। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় দলে আসতে পারতেন জাকির হাসান। কিন্তু ‘আটকপাল’ বিজয়ের। সবাইকে টপকে শ্রীলঙ্কার বিমান ধরলেন তিনি।
দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সবার কাছে দোয়া চাইলেন বিজয়। বিজয় বলেন, “আমার বেশি কিছু বলার নেই। শুধু এটুকুই বলব, প্রচুর ভালোবাসা ও দোয়া ছিল। যে কারণে আজকে হয়তো বাংলাদেশ দলে আবার সুযোগ পেয়েছি। আপনারা দোয়া রাখবেন। আমি ইনশাআল্লাহ্ চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার।”
বিজয়কে রাখা হয়েছিল বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পে। জেমি সিডন্সের অধীনে সেখানে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে বিশ্বাস তার।
বাংলাদেশের এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান বলেন, “টাইগার্স ক্যাম্পে যেহেতু ছিলাম, (জেমি) সিডন্সের কোচিংয়ে ছিলাম। ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। বাকিটা দেখি। সুযোগ যদি আসে, চেষ্টা করব। আপনারা দোয়া রাখবেন।”
এদিকে, কেন বিজয়কে কেন দলে নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, “যেহেতু আমাদের আরেকজন উইকেটকিপার নেই, অতিরিক্ত উইকেটকিপার, সো এটা একটা আমাদের জন্য ফ্যাক্টর। আর লাইক ফর লাইক বলবো, লিটনও টপ অর্ডার ব্যাটিং করে বিজয়ও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে। আর যদি ইনকেস মুশফিক ভাইয়ের কিছু হয়। বিশেষ করে ম্যাচ চলাকালীন। কনকাশন হতে পারে ছোট খাটো ইনজুরি হতে পারে দেখা যাচ্ছে যে উনি ওইদিন কিপিং করতে পারছে না। যেহেতু এখন একটা রুলস আছে যে, দ্বিতীয় উইকেটকিপার যদি ম্যাচে না খেলে তাহলে সেও উইকেটকিপিং করতে পারবে। এটাও একটা অপশন, সো ওই গ্যাপগুলো ফিল করার জন্য বিজয়কে পিক করা।”
এরআগে, বিজয়ের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, “লিটনের না থাকায় আমাদের একজন টপ অর্ডার ব্যাটার প্রয়োজন ছিল যিনি কিপিংও করতে পারেন। সেজন্যই এনামুলকে নেওয়া।”
অবধি ৪৪ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৩০.৫৮ গড় ও ৭৪.১৫ স্ট্রাইক রেটে ১২৫৪ রান করেছেন বিজয়। এই ফরম্যাটে তিনটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে ১৪, ১১ ও ৮ রান করে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
যদিও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে ১৬ ম্যাচ খেলে ৫৯.৫৭ গড় ও ৯৭.৩১ স্ট্রাইক রেট ৮৩৪ রান করেন। তিন সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার ছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এরপরও প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক না পাওয়ায় আলোচনা তৈরি হয়েছিল। বিজয় এবার সুযোগ পেয়ে গেলেন এশিয়া কাপের স্কোয়াডেই।