খেলার শুরুটা হয় মঙ্গলবার, যখন শেষ হল, তখন ঘড়ির কাঁটা বলছে, বুধবার হয়ে গিয়েছে। ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ম্যাচে স্পেনের কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে বছরের প্রথম গ্রান্ড স্লাম টেনিস আসর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছেন সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ।
৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ ৪-৬, ৬-৪, ৬-৩ ও ৬-৪ সেটে হারিয়েছেন আলকারাজকে।
১৬ বছরের ছোট খেলোয়াড়কে চার সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন তিনি। তবে সেমিফাইনালে উঠেও কিছুটা আক্ষেপ ধরা পড়ল জোকোভিচের গলায়। তিনি চেয়েছিলেন, আলকারাজ়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলতে। সেই লড়াই হয়ে গেল কোয়ার্টার ফাইনালেই।
টেনিসের বিস্ময় প্রতিভা বলা হয় ২১ বছর বয়সী আলকারাজকে। এরই মধ্যে চারটি গ্রান্ড স্লাম জিতেছেন তিনি। সবচেয়ে অল্পবয়সী টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে হয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর। সেই প্রতিভাকে হারালেও জোকোভিচের গলায় শোনা গেল প্রতিপক্ষের প্রতি প্রশংসা। আলকারাজের সাফল্যে মুগ্ধ তিনি।
খেলা শেষে ২৪টি গ্রান্ড স্লামের মালিক জোকোভিচ বললেন, ‘ক্যারিয়ারে কার্লোস যা অর্জন করেছে তার জন্য আমি ওকে সম্মান করি। ও দুর্দান্ত প্রতিপক্ষ। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ এক নম্বর। আমি নিশ্চিত ওর হাতে আরও গ্রান্ড স্লাম ট্রফি দেখব। ও আমার চেয়েও বেশি দিন খেলবে। চেয়েছিলাম, এই ম্যাচটাই ফাইনাল হোক।’
জোকোভিচের জীবনে তার পরিবারের কতটা ভূমিকা তা আগেও দেখা গিয়েছে। গত বছর একটিও গ্রান্ড স্লাম জিততে পারেননি। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর আগেই বলেছিলেন, কন্যার ভাগ্যে হয়তো এবার চ্যাম্পিয়ন হবেন। শেষ ষোলোর ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন জোকোভিচের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা। খেলা শেষেও ছিলেন তারা। কথা বলতে বলতে হঠাৎ সেদিকে নজর যায় জোকোভিচের। তিনি বলে ওঠেন, ‘আরে আমার ছেলে-মেয়ে এখনও এখানেই আছে। রাত ১টা বেজে গিয়েছে। যাও হোটেলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।’ তখনই দেখা যায়, জোকোভিচের কন্যা তাকে হাতের ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করছে। অর্থাৎ, সেও বোঝায় যে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। এই দৃশ্যে কোর্টে হাসির রোল ওঠে।