বিশ্বকাপে জয়টা যেন ভুলেই গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের পর হেরেছে টানা ছয় ম্যাচ। যেখানে একটা হার নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিপক্ষে। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর বলা যায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ওয়ার্ল্ড কাপ এটা। যেভাবে যাচ্ছে বাংলাদেশ তাতে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দলের এমন পারফরমেন্সে হতাশ ভক্ত সমর্থক সহ সবাই। হতাশার ছাপ ক্রিকেটারদের চোখে মুখে দেখা মিললো।
পাকিস্তানের বিপক্ষে কলকাতায়ও বাংলাদেশকে হেসে খেলে হারিয়েছে পাকিস্তান। সেই ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে আসা শরিফুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হয় সময় কি একটু বেশিই কঠিন, বিশ্বকাপ শেষ হলে স্বস্তি পান এমন অবস্থা? তার উত্তরে শরিফুল বলেন, “এমন কিছু না। সময় খারাপ যাচ্ছে, কিন্তু কখনো এটা ভাবছি না বিশ্বকাপ শেষ হলে বেঁচে যাই। প্রতিটা অনুশীলন সেশনে আবার কীভাবে কামব্যাক করবো, ওভাবে প্র্যাক্টিস করার চেষ্টা করছি।”
ব্যাট-বল দুই বিভাগেই ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। তার পারফরমেন্স নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে শরিফুল বলেন, “আসলে উনি কিন্তু বিশ্বকাপের আগে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছেন, অনেক ভালো খেলেছেন। সে হিসেবে সবারই চাওয়া থাকে। চেষ্টা করছেন, ইনশাআল্লাহ সামনে হবে।”
মাঠে অ্যালান ডোনাল্ডকে মাঠে সবচেয়ে বেশি অ্যাক্টিভ দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ দলের এই পেস বোলিং কোচ অনেকটা হতাশায় বসে থাকে মাঠে। কারণ সেরা ছন্দে নেই বাংলাদেশের পেসাররা। তাই শরিফুলকে জিজ্ঞাসা ডোনাল্ড কি বলে তাদের। বাংলাদেশের এই পেসার বলেন, “সে সবসময় সাহস দেয়, যখন যে স্পেলে আসবে; চেষ্টা করবা তোমাদের সেরাটা দেওয়ার, বেসিক প্ল্যানে থাকার। এর থেকে আর কী বলবে।”
পাকিস্তানের সঙ্গে হারের পর পরই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ। এখন বাকি তাদের দুইটি ম্যাচ। শেষ দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখা।