তানজিম হাসান সাকিব নিজে হয়ত মাস দুয়েক আগেও স্বপ্ন দেখেননি বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এবাদত হোসেনের ইনজুরি তাকে নিয়ে এসেছে টাইগার শিবিরে। ডাক পায় এশিয়া কাপ স্কোয়াডে। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় এই পেসারের। আর সুযোগ পেয়ে বল হাতে নিজের কারিশমা দেখান তিনি। নিউজিল্যান্ড সিরিজেও বল হাতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। এই সিরিজে চোটে পড়লেও ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে।
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন সাকিব। এবার যাচ্ছেন বড়দের বিশ্বকাপ খেলতে। রোমাঞ্চিত সাকিব দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, “অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল অবশ্যই স্বপ্নের মতো আর এখন বড়দের সঙ্গে যাচ্ছি। ভালো খেলার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। ওটা আমাকে অনেক মোটিভেশন দেয় কারণ একটা বিশ্বকাপ জিতছি, তো আমার কোনো ধরনের ভয় কাজ করে না। মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী আছি। এটা আমাকে অনেক মোটিভেশন দেয়।”
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তানজিম সাকিব। ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতে চান তিনি। গণমাধ্যমকে এই পেসার বলেন, “ভালো লাগছে, বিশ্বকাপে সেরাটা খেলার চেষ্টা করব যদি ম্যাচ পাই, ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন সবাই।”
স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার পর পরিবারের অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে তরুণ এই পেসার বলেন, “হ্যাঁ, সবার সাথে কথা হয়েছে, জানিয়েছি। আম্মু খুব খুশি হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আব্বু তো অনেক বেশি খুশি।”
এ সময় সাকিব আরও বলেন, “যখন আমি ভারতের সঙ্গে ভালো খেলি তখন আমার একটাই পরিকল্পনা ছিল পরবর্তী যে খেলাগুলো আসবে শুধু ভালো খেলে যাবো। নির্বাচকরা আমাকে যেখানে নিয়ে যাবে আমি ওখানেই ভালো খেলবো। তারা যখন আমাকে বিশ্বকাপের জন্য বাছাই করলো সেটা আমি মনে করি আমার জন্য সুবর্ণ সুযোগ ভালো করার জন্য বা দেশকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য। আমি ওটাই চেষ্টা করবো যেন আমি দেশকে সর্বোচ্চটা দিতে পারি। আমি আমার থেকে শতভাগ চেষ্টা করে যাব বাকিটা আল্লাহ আমার সাথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।”