দুই লাতিন ফুটবল জায়ান্ট ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ইতোমধ্যে চলতি বছরে তাদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বছরের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা পেরুর আর ব্রাজিল উরুগুয়ের মোকাবিলা করে।
বুধবার ভোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে জয় পায় আর্জেন্টিনা। আর উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করে ব্রাজিল।
ফিফার নভেম্বর উইন্ডোতে দুই ম্যাচের একটিতে জিতেছে ও একটিতে হেরেছে আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ের কাছে ১-২ ব্যবধানে হারের পর পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে শীর্ষে স্থানে রয়েছে তারা। ১২ ম্যাচে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ২৫।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলের ড্র করার পর ঘরের মাঠে বুধবার উরুগুয়ের সঙ্গেও একই ব্যবধানে ড্র করে ব্রাজিল। টানা দুই ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবনতি হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের। চার থেকে পাঁচে নেমে এসেছে দারিভাল জুনিয়রের দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১৮।
আর্জেন্টিনার হাতে রয়েছে এখন ছয়টি ম্যাচ। এরমধ্যে আর মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেলেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা আগামী বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবে। অর্থাৎ মাত্র তিন পয়েন্ট পেলেই তাদের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হবে।
এদিকে, পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের হাতেও রয়েছে ছয়টি ম্যাচ। বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে তাদের পেতে হবে আরও ১০ পয়েন্ট। কমপক্ষে ৩টি জয় এবং ১টি ড্র হলেই ব্রাজিল ১০ পয়েন্ট পেয়ে যাবে। অথবা ৩টি জয়ের সঙ্গে বাকি তিনটিতে ড্র করতে হবে ব্রাজিলকে।
আগামী বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের জন্য কোটা বেড়েছে। এবার বাছাইপর্ব থেকে ছয়টি দল সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। আর সপ্তম স্থানে থাকা দলটিরও সুযোগ থাকবে। তাদেরকে ইন্টারকনফেডারেশন প্লে-অফ খেলতে হবে। পূর্বে এ অঞ্চল থেকে ২৭ পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হতো বিশ্বকাপের জায়গা। দল বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার তুলনামূলক কম পয়েন্টেও শীর্ষ ছয়ে থাকা সম্ভব।
আর্জেন্টিনার হাতে থাকা ম্যাচের প্রতিপক্ষরা তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ায় তাদের পয়েন্ট সংগ্রহে খুব সমস্যা হবে না। অন্যদিকে ব্রাজিলকে অনেকটা চাপে থাকতে হচ্ছে।
২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে।