ম্যাচের শেষ মিনিট, শেষ বাঁশি দেওয়ার অপেক্ষায় রেফারি। সেই সময়েই আর্জেন্টিনার গোলপোস্টে সামনে বল পেয়ে যান ফ্রান্সের ফুটবলার র্যান্ডাল কোলো-মুয়ানি, তার সামনে শুধু আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শটটাও নিয়েছিলেন গোলার মতো কিন্তু অবিশ্বাস্য দক্ষতায় সেই বল ঠেকিয়ে দেন মার্টিনেজ।
কোন জাদুবলে বাঁ পা দিয়ে ওই সময় বলটি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন মার্টিনেজ, তা নিয়ে গবেষণাও করা যেতে পারে। ওই সেভ না দিতে পারলে আরও একবার ফাইনালে উঠেও বিশ্বকাপ না জিতে ফিরতে হতো লিওনেল মেসিকে। এমনিতেই অভিষেকের পর থেকে আর্জেন্টিনা ভক্তদের নয়নের মনি মার্টিনেজ আর ওই সেভের পর তো ঠাঁই পেয়েছেন হৃদয়ের মনিকোঠায়।
কিন্তু আসলে ঠিক কিভাবে ওই শট ঠেকিয়েছিলেন মার্টিনেজ সেটা জানার কৌতূহল কম-বেশি সবারই রয়েছে। সম্প্রতি সেই কৌতূহল মিটিয়েছেন তিনি। ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই সেভ নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার এই গোলরক্ষক।
সেখানে মার্টিনেজ বলেন, তিনি মুয়ানিওর সামনের ফাঁকা জায়গা কাভার করেছিলেন। তবে বল যে বাঁক নিয়েছিল সেটাও নজড় এরায়নি বলে জানান তিনি। ব
মার্টিনেজ বলেন “বলটা পড়ার পর অদ্ভুতভাবে বাঁক নিয়েছিল। বুঝতে পেরেছিলাম ভলি করতে পারে। তাই আমার বাঁ পাশের ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে ইচ্ছে করেই (মুয়ানির সামনে) আড়াআড়িভাবে পা বাড়িয়ে দিই।”
মেন্টাল গেমের জন্য আগে থেকেই সবার নজড় কেড়েছিলেন মার্টিনেজ। তবে শুধু পেনাল্টি নয় মাঠেও যে মেন্টাল গেম খেলেন এটাই যেন তার প্রমাণ। তিনিই মুয়ানিকে বাঁ দিকে শট নিয়ে প্রলুব্ধ করেছিলেন বলে জানান।
“ তাকে (মুয়ানি) আমার বাঁ দিকে মারতে আমিই প্রলুব্ধ করেছি। সে শট নেওয়ামাত্রই আমি বাঁ হাত ও বাঁ পা’টা বাড়িয়ে দিই, যেন ফাঁকা জায়গাটা পূরণ হয়। অবশ্যই এটা নিয়ে অনুশীলন করেছি। আক্রমণে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে বছরের পর বছর অনুশীলন করেই নিজেকে এভাবে তৈরি করেছি” যোগ করেন মার্টিনেজ।
ম্যাচে তখন ৩-৩ গোলে সমতা। ওটা গোল হলে আর্জেন্টিনার হার ছিল শতভাগ নিশ্চিত। ফলে এটা যেন শুধু সেভ নয় আর্জেন্টিনাকে মার্টিনেজের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া বিশ্বকাপ।