প্রতিপক্ষ সুইডেন। যারা বিশ্বকাপের শেষ ৯ আসরের পাচঁটিতেই খেলেছিলো সেমিফাইনাল। তার উপরে র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে তিন নম্বরে। সেই সুইডেনকে বিদায় করে দিয়ে নারী বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলো স্পেন। সুইডিশদের তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে।
এবারের আগে মাত্র দুইবার বিশ্বকাপে খেলেছিল স্পেন। ২০১১ সালে প্রথমবার অংশ নিয়ে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়। আর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বার অংশ নিয়ে তাদের যাত্রা থামে শেষ ষোলোতেই। এবার অবশ্য শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালের গণ্ডি পেরিয়ে তারা পৌঁছে গেছে একেবারে ফাইনালে।
এদিকে আরও একবার সেমিফাইনালেই থামলো সুইডেনের যাত্রা। ১৯৯১ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলা দলটি এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শেষ চার থেকেই বিদায় নিলো। সবশেষ ২০১৯ সালে তারা তৃতীয় হয়েছিল। এর আগে ২০১১ সালেও তৃতীয় হয়েছিল। আর ১৯৯১ সালে প্রথমবার অংশ নিয়েই সেমিফাইনাল খেলে তৃতীয় হয়েছিল। আর ২০০৩ সালে ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল।
শক্তি-সামর্থ্য-র্যাঙ্কিং সবদিক থেকে সুইডিশ মেয়েরা এগিয়ে ছিল স্পেনের চেয়ে। তবে, মাঠের খেলায় তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি স্প্যানিশ মেয়েরা। সমান তালে লড়ে যায় তারা। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পরও ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগপর্যন্ত কোনো দলই স্কোরবোর্ডে নাম তুলতে পারেনি।
ম্যাচের ডেডলক ভাঙা প্রথম গোলটি আসে ৮১তম মিনিটে। আগের ম্যাচের মতোই এবারও স্প্যানিশদের এগিয়ে দেন আসরে দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী (১৯ বছর) ফুটবলার সালমা পারাউয়েলো।
এগিয়ে গিয়েও সস্থিতে ছিল না স্পেন। ৭ মিনিট পর রেবেকা ব্লমকভিস্টের গোলে সুইডেন সমতা আনে। মনে হচ্ছিল ম্যাচটি তাহলে গড়াতে যাচ্ছে টাইব্রেকারে। সেই সময় আবারও স্পেনের ঝলক।
নির্ধারিত সময় শেষের এক মিনিট (৮৯) আগেই দুর্দান্ত এক গোলে আবারও এগিয়ে যায় স্পেন। রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ লেফ্ট ব্যাক ওলগা কারমোনা ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে সুইডিশ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পৌঁছান। এর মাধ্যমেই ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে যায় স্পেনের। কারণ এরপর সাত মিনিট অতিরিক্ত সময় পেলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি কোনো দলই।