• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবলে ইতিহাস যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
ফুটবলে ইতিহাস যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের
ম্যাচ জয়ের পর উল্লসিত ফিলিস্তিন দলের খেলোয়াড়রা। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ান কাপ ফুটবলের এক ম্যাচে রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই কাতারের দোহার আবদুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে তৈরি হলো অন্যরকম এক পরিবেশ। মোহাম্মেদ সালেহ সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। উঠে দাঁড়িয়ে মাথা তোলার শক্তিটাও যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। একমাস আগেও তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দা। তার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত অনেকেই মঙ্গলবার সাক্ষী হলেন অন্যরকম বিজয়ের। 

হংকংয়ের জালে যখন ফিলিস্তিন একের পর এক গোল দিচ্ছে, তখনও নিজ দেশে আছড়ে পড়ছিল ইসরায়েলের বোমা। গ্রুপপর্বের শেষদিনে তারা তৈরি করেছে ইতিহাস। হংকংকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় ফিলিস্তিন দল।

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের নকআউট পর্বে কোয়ালিফাই করেছে ফিলিস্তিন। এশিয়ার সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবলে এটিই তাদের প্রথম জয়। আর এই জয়টাই তাদের নিয়ে গেল নকআউট পর্বে। ১ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘সি’র তৃতীয় অবস্থানে থেকে পরবর্তী পর্ব নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন। 

হংকংয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে দাপট দেখিয়ে খেলেছে ফিলিস্তিন। ম্যাচে দলটির হয়ে হয়ে জোড়া গোল করেছেন ওদায় দাবাগ। ১২ ও ৬০ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেছেন এই ফরোয়ার্ড। অন্য গোলটি আসে জাইদ কুনবার পা থেকে।

তবে আসল নায়ক ছিলেন দলের অধিনায়ক মুসাব। রাইটব্যাকে খেলা ৩০ বছর বয়েসি এই ফুটবলার দাপিয়ে বেরিয়েছেন পুরো মাঠে। ওদায় দাবাগের প্রথম গোলে অ্যাসিস্ট এসেছিল তার পা থেকে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে জাইদ কুনবার গোলেও ছিলেন তিনি। রক্ষণও সামলেছেন সমানতালে।  

শেষ ষোলোতে তাদের প্রতিপক্ষ হট ফেবারিট এবং টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতার। 

ম্যাচ শেষে মুসাব বলেন, ‘আমরা একটা পরিষ্কার বার্তা দিতে চেয়েছি। আমাদের সব ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল আসরে অংশগ্রহণের অধিকার আছে। আর সেটা কেবল নিছক স্থান পূরণের জন্য না বরং নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার জন্য।’
 

Link copied!