আইসিসি ইভেন্ট মানেই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যার প্রমাণ ২০১৫ বিশ্বকাপ এবং ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০১৯ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২১৯ রান। যেখানে সেঞ্চুরি না করলেও ছিল একটা হাফসেঞ্চুরি। তবে, ২০২৩ বিশ্বকাপে আবারও ব্যাট হাতে তার ঝলক। বাংলাদেশের পক্ষে এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তারই। বাংলাদেশের হয়ে এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র সেঞ্চুরিটাও তারই। তার সেই সেঞ্চুরির কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় ব্যবধানের হারের লজ্জা এড়াই টাইগাররা। এবার সেই আইসিসি ইভেন্টের মঞ্চ থেকেই যেন অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন দ্য সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ।
আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদ জানিয়েছেন, “এটিই হতে চলেছে তার শেষ বিশ্বকাপ।” কারণ পরের বিশ্বকাপটা ২০২৭ সালে। ৩৭ বছরে থাকা রিয়াদ পরের বিশ্বকাপে হয়ে যাবে ৪১। ওই বয়সে না খেলাটাই স্বাভাবিক।
আইসিসির ভিডিওতে রিয়াদ বলেন, “দেশের হয়ে অনেকদিন ধরেই খেলছি আমি। ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয় বাংলাদেশের জার্সিতে। এরপর অনেক সময় হয়ে গেলো আমি খেলছি, আইসিসি ইভেন্টে চারটি সেঞ্চুরি করতে পারায় আসলে আমি নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করি।”
এরপরই নিজের শেষ বিশ্বকাপের কথাও বলেন দ্য সাইলেন্ট কিলার, “সত্যি কথা বলতে এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। এরপর বাংলাদেশের হয়ে আমি আর কতদিন খেলতে পারবো তা নির্ভর করছে আমার শরীর এবং পারফর্ম্যান্সের উপর। তবে খুব তাড়াতাড়ি হোক বা আরও কিছু সময় পরেই হোক, আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতেই হবে।”
বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘদিনের আস্থার নাম পঞ্চপাণ্ডব। সেই পাণ্ডবের একজন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাশরাফি চলে গেছেন, রিয়াদও। তালিকায় আছেন সাকিব-তামিম-মুশফিকও। এদের চলে যাওয়ার পর কেমন করবে বাংলাদেশ এই নিয়ে শঙ্কা অনেকেরই। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আশাবাদী তরুণদের নিয়ে, “ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটও সামনে এগিয়ে যাবে, আমাদের ড্রেসিংরুমে মুস্তাফিজ, তাসকিন, মিরাজরাই হবে সিনিয়র ক্রিকেটার, ভবিষ্যতে ওরাই হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি।”