লিভার ও কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ৪৯ বছর বয়সী জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক মারা গেছেন—এমন খবর গণমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এই জিম্বাবুয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ করেন তার সাবেক সতীর্থ ওলোঙ্গা হেনরি। কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। তবে কয়েক ঘণ্টা পর স্ট্রিক নিজেই জানালেন তিনি বেঁচে আছেন।
স্ট্রিকের মৃত্যু নিয়ে প্রথম টুইট করে হেনরি বলেন, “দুঃখের সংবাদ এসেছে যে হিথ স্ট্রিক পরপারে চলে গেছে। শান্তিতে থেকো কিংবদন্তি। আমাদের দেশের সেরা অলরাউন্ডার। তোমার সঙ্গে খেলাটা ছিল আনন্দের। যখন আমার বোলিং স্পেল শেষ হয়ে যাবে, তখন পরপারে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।”
এরপর যখন ওলোঙ্গা জানতে পারেন স্ট্রিক মারা যাননি, তখন তিনি তার টুইট ডিলেট করে দেন। এরপর সাবেক জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের সঙ্গে চ্যাটের অংশ শেয়ার করে দেন। এবার আবার ওলোঙ্গা বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবরটি সঠিক নয়। আমি মাত্রই তার কাছ থেকে জানলাম। থার্ড আম্পায়ার তাকে ফিরিয়ে এনেছেন। সে ভালোভাবেই জীবিত আছে।”
ওলোঙ্গার টুইটারে শেয়ার করা চ্যাটের স্ক্রিনশটে দেখা যায়, স্ট্রিক নিজেই ওলোঙ্গাকে লিখেছেন, “আমি ভালোভাবেই জীবিত আছি রানআউটটি ঘুরিয়ে দাও, বন্ধু।”
ওলোঙ্গা লিখেছেন, “হা হা, শুনে খুবই খুশি হলাম। ব্যাপারটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। তুমি এক রাতের মধ্যে মারা গিয়েছিল ভাই।”
হিথ স্ট্রিক জিম্বাবুয়ের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। সাবেক এই ফাস্ট বোলার দেশটির হয়ে প্রথম খেলোয়াড়, যিনি ১০০ উইকেট শিকার করেন। দেশটির হয়ে তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মালিক। এই পেসবোলার দলের প্রয়োজনে ব্যাটও চালাতেন ভালোই। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে তার নাম।
স্ট্রিক খেলোয়াড়ি জীবন শেষে যুক্ত হন কোচিং ক্যারিয়ারের সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচও ছিলেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত টাইগারদের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৮ সালে আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইর্ডাসের কোচ হন। তবে তার জীবনের খারাপ সময় শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে আইসিসি তাকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু তিনি এই অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করে আসছেন। এরপর ২০২২ সালে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হন।