জীবনের প্রথম বিদেশি ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ খেলতে গিয়ে বাজিমাত করেছেন তাওহীদ হৃদয়। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট পর্যন্ত হৃদয়ের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলার এনওসি ছিল। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আসরের নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামেন টাইগার ব্যাটার। শেষ ম্যাচে হৃদয় ৯ বলে ১৪ রান করে জাফনা কিংসকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। হৃদয় ১৩৫ দশমিক ৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১৩৫ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন।
এদিন পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কলম্বো স্ট্রাইকার্স। দলের দুই ওপেনারের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় স্ট্রাইকার্স। পথুম নিসাঙ্কা ও বাবর আজম ৫৭ রানের জুটি গড়েন। নিসাঙ্কা ৩৬ রানে আউট হন। এরপর আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর ইনিংস বড় করতে পারেননি।
তিনি ২১ রান করে দিলশান মাদুশঙ্কার বলে ফিরে গিয়েছেন। বাবরের বিদায়ের পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে কলম্বো। শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজের ২৭ রান এবং চমিকা করুনারত্নের অপরাজিত ২১ রানের সুবাদে কলম্বো স্ট্রাইকার্স ৮ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে।
মাঝারি রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিশান মধুশকা ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন। গুরবাজর ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৩৯ রান। নিশান মধুশকার করেন ৪৬ রান।
হৃদয় সাধারণত ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। তবে এ দিন হৃদয়কে দল ৬ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। টাইগার ব্যাটার যখন মাঠে নামেন তখন দলের জয়ের জন্য ৪১ বলে ১৯ রান প্রয়োজন। এইসময় তার দায়িত্ব ছিল দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়া। তিনি করেছেনও তাই। বগুড়ার হৃদয় ৯ বলে ৩ চারে অপরাজিত ১৪ রানে জাফনা কিংসকে আসরের তৃতীয় জয় এনে দিয়ে এলপিএল থেকে বিদায় নিলেন।