সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে বোলিং করতে নেমে শুরুতেই ইংল্যান্ডকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে তাসকিনের তোপে কেঁপেছেন ইংলিশদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। যদিও পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান তুলে সেই চাপ সামাল দিয়েছিল ইংলিশরা। তবে এরপর টানা তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেছে টাইগাররা।
পাওয়ার প্লে শেষে বল হাতে নিয়েই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সল্টকে ফিরিয়েছেন সাকিব। ফেরার আগে ১৯ বলে ২৫ রান করেছেন সল্ট। এরপর ইনিংসের অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়ে সবচেয়ে বড় মাছটাই শিকার করেছেন হাসান মাহমুদ। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের উইকেট উপড়ে ফেলেছেন এই ডানহাতি পেসার।
পরের ওভারে আবারও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতে টাইগাররা। এই ম্যাচে একাদশে ফেরা স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান মঈন আলীকে। শামিম হোসেনের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে মঈনের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
এর আগে ইনিংসের প্রথম ওভার করতে এসেই ১০ রান হজম করেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে মোস্তাফিজের দারুণ এক ডেলিভারে ইংলিশ ওপেনার সল্টের ব্যাট স্পর্শ করে প্রথম স্লিপের পাশ দিয়ে চলে বাউন্ডারিতে। দারুণ বোলিং করার ফিজের এই ওভার থেকে আসে মাত্র ছয় রান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। তাসকিনের বল উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালান। কিন্তু সেটা এজড হয়ে থার্ডম্যানে উড়ে গেলে তালুবন্দি করেন হাসান মাহমুদ। ফেরারা আগে মাত্র পাঁচ রান করেন তিনি।
এক বলের ব্যবধানে তিন নম্বরে নামা মঈন আলিকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাসকিনের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে মঈনের ব্যাট স্পর্শ করে প্রথম স্লিপে গেলেও লাফিয়ে সেটার নাগাল পাননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে মাত্র আট রান দেন তাসকিন। একটি চার হজম করলেও পুরো ওভারে মঈন ও সল্টকে রীতিমতো অস্বস্তিতে রেখেছিলেন তিনি।
তবে অন্যরা অস্বস্তিতে থাকলেও আরেক প্রান্তে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন সল্ট। পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে নাসুম আহমেদ হজম করেছেন ১৩ রান। পাওয়ার প্লে শেষে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৫০ রান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬২ রান। পাঁচ রানে স্যাম কারেন ও দুই রানে ব্যাটিং করছেন বেন ডাকেট।