রংপুর রাইডার্স যেন হারতে ভুলে গেছে। ঢাকায় প্রথম পর্বের তিন ম্যাচেই জিতে তারা এখন রয়েছে সিলেটে। সেখানেও প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। যেখানে সিলেট দু’শর বেশি রান করেওি হেরে গেছে। আর সবমিলে টানা চতুর্থ জয় পেয়ে পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে রংপুর।
ঢাকা পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিল সিলেট দল। সিলেটে তারা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেও জয়ের দেখা পেলো না। হারলেও কথা ছিল; কিন্তু ২০৫ রান করেও হারতে হবে, হয়তো কল্পনাও করেনি আরিফুল হকের দল।
সিলেটের করা ২০৫ রানের বিশাল স্কোর মূলত রংপুর রাইডার্স পাড়ি দিয়েছে ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে। ৫৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করার পর ৫৬ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হেলস।
২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হেলস আর সাইফ হাসানের ব্যাটে এক ওভার হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিলো রংপুর রাইডার্স। ৪ ম্যাচ খেলে সবগুলোতে জয় নুরুল হাসান সোহানের দলের। ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে তারা।
২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২ রানের মাথায় আউট হন রংপুরের ওপেনার, তরুণ ব্যাটার আজিজুল হাকিম। তানজিম হাসান সাকিবের বলে রিটার্ন ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর অ্যালেক্স হেলস আর সাইফ হাসান মিলে সিলেটের বোলারদের নাকের পানি-চোখের পানি এক করে ছাড়েন। ১৮৬ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়ে তানজিম হাসান সাকিবের বলেই বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৪৯ বলে ৮০ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। ৩১ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি। সাইফের ইনিংসি সাজানো ছিল ৩ বাউন্ডারি এবং ৭ ছক্কার সমাহারে।
শেষ দিকে, ১৯তম ওভারের শেষ ২ বলে পরপর ২টি ছক্কা মেরে রংপুরকে জয় এনে দেন হেলস। ৫৬ বলে ১০ চার আর ৭ ছক্কায় ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন এই ইংলিশ ব্যাটার। ৪ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার আহমেদ। ২ উইকেট নেন তানজিম সাকিব।
এর আগে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে সিলেটকে ব্যাট করতে পাঠায় রংপুর রাইডার্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের দুটি হাফ সেঞ্চুরি, অ্যারোন জোনস ও জাকের আলি ঝড়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করেছিলো সিলেট। ৫৪ রান করেন রনি তালুকদার, ৫০ রান করেন জাকির হাসান। ১৯ বলে ৩৮ রান করেন অ্যারোন জোন্স ও ৫ বলে ২০ রান করেন জাকের আলি।