ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে জয়ের টার্গেট পেয়েছে ৫১৫ রান। প্রায় অসম্ভব এই টার্গেট স্পর্শ করে জয়লাভ করা। আবার একেবারেই অসম্ভব নয়। যেহেতু বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার আগে তাদের হাতে ছিল প্রায় আড়াই দিন। একেবারে ঠান্ডা মাথায় যদি ব্যাটাররা ক্রিজে পড়ে থাকেন, তাহলে নতুন কিছু ঘটলেও ঘটতে পারে। যা টেস্ট ক্রিকেটেরে ইতিহাসে হবে বিরল ঘটনা, হবে নতুন বিশ্বরেকর্ড।
বাংলাদেশ এর আগে ২০০৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ৫২১ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ৪১৩ রান করে ১০৭ রানে পরাজিত হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৭ উইকেটে ওই রান করে জিতে যায়। যা এখন পর্যন্ত চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্বরেকর্ড। ভারতের বিপক্ষে ৫১৫ রানের টার্গেট নিয়ে জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে ওই বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেই চলবে না, গড়তে হবে নতুন এক বিশ্বরেকর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ভারত ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪০৩ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ৪ উইকেটে ৪০৬ রান করে ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ৪০৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ৩ উইকেটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ৪০০ রানের বেশি লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে জয়লাভের ঘটনা ইতিহাসে এই চারটিই।
বড় টার্গেট নিয়ে চতুর্থ ইনিংসে খেলতে নেমে বিভিন্ন দল হয় হেরেছে নয়তো ড্র করেছে, কিন্তু জয় পায়নি। এমন কিছু ঘটনা রয়েছে টেস্ট ইতিহাসে। ইংল্যান্ড দল ১৯৩৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ৬৯৬ রানের টার্গেট নিয়ে ৫ উইকেটে ৬৫৪ রান করে, ম্যাচটি ড্র হয়। নিউজিল্যান্ড ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫০ রানের টার্গেট নিয়ে ৪৫১ রান করে ৯৮ রানে পরাজিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে ৪৫৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৭ উইকেটে ৪৫০ রান করে, ম্যাচটি ড্র হয়। পাকিস্তান ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৯০ রানের টার্গেটি নিয়ে ৪৫০ রান করে ৪০ রানে হেরে যায়। ভারত ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৪৯৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ৪৪৫ রান করে ৪৮ রানে হেরে যায়। পাকিস্তান ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০৬ রানের টার্গেট নিয়ে ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান করে, ম্যাচটি ড্র হয়। নিউজিল্যান্ড ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৪৭৯ রানের টার্গেট নিয়ে ৪৪০ রান করে৩৯ রানে পরাজিত হয়। নিউজিল্যান্ড দল ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করে ৪৩১ রান করে ১২২ রানে পরাজিত হয়। ভারত ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৩৮ রানের টার্গেট নিয়ে ৮ উইকেটে ৪২৯ রান করে, ম্যাচটি ড্র হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৪৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ৭ উইকেটে ৪২৩ রান করে, ম্যাচটি ড্র হয়।