হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য উন্মুখ এবং স্বীকার করেছেন যে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারলে ‘গর্বিত’ হবেন। এমনটা জানিয়েছিলেন হামজা। এবার তার সে স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গ্রেনাডিয়ান হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি হামজা।
বাংলাদেশের হয়ে খেলার ভাবনা নিয়ে হামজা বলেন, “হ্যাঁ, আমি বাংলাদেশের হয়ে আগামীতে খেলতে চাই। আমি এখানে থাকলে আগামী কয়েক বছরে আরও ভালো পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে যেতে পারব। তবে আমি বাংলাদেশে গিয়ে খেলতে পারলে আরও গর্বিত হব। সেখানে নিয়মিত খেলতে চাই।”
আগামী মাসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। নিশ্চিত করেছেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির সদস্য আমের খান।
বিশ্বকাপ বাছাই সামনে রেখে মার্চের শুরুর দিকে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার কথা বাংলাদেশের। গত মাসে এ তথ্য জানিয়েছিলেন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সেই ক্যাম্পেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা হামজার।
লেস্টার সিটি থেকে ছাড়পত্র পেলেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপাবেন এই ইংলিশ ফুটবলার। এ বিষয়ে ৮০ ভাগ কাজ গুছিয়ে এনেছে ফুটবল ফেডারেশন। চুক্তিতে বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা থাকায় এই তারকা ফুটবলারকে পেতে সাবধানী অবস্থানে বাফুফে।
আমের খান বলেন, “হামজাকে নিয়ে আমরা কাজ করছি, চেষ্টা করছি। দেখি কী হয়। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ৮০ ভাগ আশাবাদী যে তাকে পেতে পারি। ওদের ওখানেও কিন্তু খেলা চলছে। এখন যদি ব্রেক না পায়, তাহলে তো আসতে পারবে না।”
শুধু হামজা নন, সৌদি আরবের ক্যাম্প উপহার দিতে যাচ্ছে কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার। যে তালিকায় আছেন ফরিদ আলী, রিদওয়ান হান্নান, সামিত সোমের নাম। পাসপোর্ট নিয়ে জটিলতা তৈরি না হলে তাদের বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপানো সময়ের ব্যাপার। তবে চুক্তিসংক্রান্ত বাধ্যবাধকতায় বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হচ্ছে ফুটবল ফেডারেশনকে।
বাংলাদেশের হবিগঞ্জে হামজা চৌধুরীর নানাবাড়ি। ছোটবেলায় সেখানকার আলো-বাতাস না পেলেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। এই ফুটবলার খেলেছেন ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব দলে।
হামজা চৌধুরী এক সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলতেন। এরপর ধারে বুরটন আলবিয়নের পর খেলেছেন ওয়াটফোর্ডেও। বেশ কয়েকবার তার বাংলাদেশে খেলার ব্যাপারে গুঞ্জন ছড়ায়।