বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকে কাতার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল অন্তত ১.২ মিলিয়ন দর্শক খেলা উপভোগ করতে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। বাস্তব চেহারায় সেটা একটুও দেখা মেলেনি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রত্যাশার মাত্র অর্ধেক দর্শক এসেছে খেলা উপভোগ করতে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, কাতারে প্রত্যাশার পুরোটা কোনোভাবেই পূর্ণ হবে না।
নানা নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ করা হয়েছে কাতার বিশ্বকাপকে। মূলত ওই কারণেই দর্শক সংখ্যা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল শুরুর আগ মুহূর্তে ৭ লাখ ৬৫ হাজার দর্শক দেশটিতে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পুরো বিশ্বজুড়ে প্রায় ১.৩৩ মিলিয়ন টিকিট হোল্ডারের কাছে ৩.০৯ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি করেছে ফিফা। তবুও অনেক ম্যাচেই দেখা গেছে খালি সিটের। তাতেই অনেকটা সহজেই বোঝা গেছে দর্শকখরার বিষয়টি।
কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কর্তৃপক্ষ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানায়, এখন পর্যন্ত দেশটিতে বিশ্বকাপ দেখতে এসেছে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৯ জন। প্রত্যাশার চেয়ে অর্ধেকের কিছু বেশি দর্শক এসেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। এর আগে কখনই মধ্যপ্রাচ্যের দেশে বিশ্বকাপ আয়োজিত না হওয়ায় দর্শকরা টিকিট কাটলেও অনেকেই আসেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাতারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, হোটেলের মূল্য বেশি ও অ্যালকোহল নিষিদ্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে।
বিশ্বকাপের পরবর্তী অংশে দর্শক সংখ্যা খুব একটা বাড়বে না বলেও ধারণা করছেন কাতারী কর্তৃপক্ষ। যদিও কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিতির নতুন রেকর্ড গড়েছে।