মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট ২৩ বছর বয়সী জর্ডান চিলিস বলেছেন, প্যারিস অলিম্পিকে তিনি যে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন তা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি আপিল করেন। আর তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ শুরু হয়েছে।
সালিশি আদালতের রায়ের পর নারীদের ফ্লোর ফাইনালে রোমানিয়ার আনা বারবোসু চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসেন এবং চিলিসের পদকটি পেয়ে যান। যা নিজেদের রেকর্ড বাইয়ে লিপিবদ্ধ করে ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন (এফআইজি)।
চিলিসের আপিল প্রসঙ্গে সালিশি আদালত জানিয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে না।
এদিকে, মার্কিন মিডিয়াগুলো তাদের প্রতিবেদনে অভিযোগ করে বলছে, সালিশি আদালতের প্যানেল প্রধানের সঙ্গে রোমানিয়ার ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলেই তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে না।
চিলিস বলেছেন, ‘পদক কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি অন্যায় বলে মনে হচ্ছে এবং আমি মানসিকভাবে বড় একটি ধাক্কা খাই।’
বৃহস্পতিবার এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পদক হারানোয় আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। এখন আবার আমাকে নিয়ে চলছে বর্ণবাদী আচরণ। যা খুবই হতাশার।’
চিলিস ছাড়াও মার্কিন জিমন্যাস্ট দলের সদস্য ছিলেন সিমোন বাইলস। যিনি ২টি সোনা জেতেন।
চিলিস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করবো এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
মহিলাদের ফ্লোর ফাইনাল ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চিলিস ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। রোমানিয়া পর দিনই সালিশি আদালতের কাছে আবেদন করে।
যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিকস কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা জর্ডান চিলিসের ন্যায়বিচার পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।