একের পর এক অতিমানবীয় ইনিংস। এবারের আইপিএলে শুবমান গিল যেন অক্লান্ত জেগে থাকা এক নক্ষত্র। যার ব্যাটের দ্যুতিতে ভর করে গুজরাট টাইটানস শুক্রবার (২৬ মে) রাতে মুম্বাইকে ৬২ রানে হারিয়ে পৌঁছেছে ফাইনালে। যাকে নেটিজেনরা ব্রিলিয়েন্টের সঙ্গে মিলিয়ে ডাকছেন ‘গিলিয়েন্ট’ নামে।
ম্যাচের টস-ভাগ্য গুজরাটের সহায় হয়নি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক রোহিত শর্মা আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান প্রতিপক্ষকে। ক্রিকেট-অনুরাগীদের তাতে লাভ হয়েছে। খেলার প্রথমেই উন্মুক্ত হয়ে যায় শুবমান গিলের বিস্ময় প্যাকেজ।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ক্রিজে শুবমানের গত রাতের ১২৯ রানের ঝলমলে ইনিংসটি ছিল ৬০ বলে ১০ ছক্কা আর ৭টি চারে সাজানো। পরপর চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৮৫১ রান করে এ মৌসুমের আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন গিল।
গুজরাটের ২৩৩ রানের ইনিংসে শুবমান ছাড়া অবদান ছিল সাই সুদর্শন ও হার্দিক পান্ডিয়ার। সুদর্শন ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ রান। আর গুজরাট দলনেতা হার্দিক স্বভাবমাফিক চড়াও হয়েছেন মুম্বাইয়ের বোলারদের ওপর। ১৩ বলে করেন ২৮ রান।
২৩৩ অতিক্রমে শুরুটা ভালো ছিল মুম্বাইয়ের। শুরুর ৫ ওভারেই ৫০ রান তুলে নেয় দলটি। তিলক বর্মার ১৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ম্যাচ নিজেদের করার আভাস দেয় মুম্বাই। কিন্তু তা ঘটেনি। দলের ৭২ রানে তিলক ফিরে যান সাজঘরে। ৩২ বলে ৫১ রানের জুটি ছিল সূর্যকুমার যাদব ও ক্যামেরন গ্রিনের। ৩৮ বলে ৬১ রান করে সূর্যকুমার আউট হলে ম্যাচ ফস্কে যায় মুম্বাইয়ের হাত থেকে।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি গুজরাট ও চেন্নাই। শিরোপা ধোনি না হার্দিকের, কার হাতে উঠবে? সর্বজনের এমন প্রশ্নের উত্তর রোববার রাতের আহমেদাবাদের মাঠেই নিহিত।