নিজ দলের যে অবস্থা, ব্যক্তিগত জীবনেরও ঠিক একই অবস্থা। ফুটবল মাঠে একদমই ভালো সময় যাচ্ছে না ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার। টানা চারবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের রেকর্ড করা দলটির চলতি মৌসুমে নাজুক অবস্থা। শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পথে গার্দিওলার দল ম্যানসিটি।
কোচিংয়ে দুর্দিনে গার্দিওলাকে ঘিরে ধরেছে ব্যক্তিগত সমস্যাও। স্পেনের গণমাধ্যম ‘স্পোর্ট’ জানিয়েছে, গার্দিওলার ৩০ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। স্ত্রী ক্রিস্টিনা সেরার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
দুজনের সম্মতিতেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, এমনটিই জানিয়েছে ‘স্পোর্ট’। দাম্পত্য জীবন থেকে বেরিয়ে আসলেও তাদের বন্ধুত্ব আগের মতোই আছে।
স্পোর্টের বরাতে ইংলিশ গণমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, গত ৫ বছর যাবৎ আলাদা থাকছেন গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা। গার্দিওলা তার পেশাগত কাজে বসবাস করছেন ম্যানচেস্টারে। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক ও লেখক ক্রিস্টিনার স্থায়ী আবাস স্পেনের বার্সেলোনা। সেখানে বাবা-মায়ের ব্যবসা পরিচালনা করছেন তিনি।
গার্দিওলা-ক্রিস্টিনা দম্পতির ঘরে ৩টি সন্তান রয়েছে- মারিয়া (২৪), মারিউস (২২) ও ভ্যালেন্টিনা (১৭)। ৫৩ বছর বয়সী কোচ গার্দিওলার বিচ্ছেদ নিয়ে জানতে টেলিগ্রাফের পক্ষে থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ম্যানসিটির সঙ্গে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ক্লাবটি।
অবাক করা বিষয় হলো, গত বছরও ক্রিস্টিনার সঙ্গে অনেকগুলো ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন গার্দিওলা। গত জানুয়ারিতে ম্যানসিটি কোচ বলেছিলেন, তার স্ত্রী বিশ্বসেরা। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা আঁচ করার কঠিনই বটে।
স্পোর্ট তাদের প্রতিবেদনে জানায়, গার্দিওলার সঙ্গে ক্রিস্টিনার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে গেল ডিসেম্বরেই। তবে বিষয়টি জানতেন শুধু দু’পক্ষের ঘনিষ্ঠরা। পরিবার ও বন্ধুদের বিষয়টি গোপন রাখার বলা হয়েছিল দুই পরিবার থেকেই। যে কারণে এতদিন তা প্রকাশ্যে আসেনি।
গার্দিওলা-ক্রিস্টিনার যৌথভাবে পথ চলা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। এরপর ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অর্থাৎ তাদের স্বীকৃত দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হলো মাত্র ১০ বছর।
গত নভেম্বরে বিশ্বের অন্যতম সেরা ও নামি কোচ গার্দিওলার সঙ্গে নতুন করে আরও ২ বছরের চুক্তি করেছে ম্যানসিটি। সে হিসেবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ম্যানসিটিতেই থাকবেন তিনি। তবে চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন চুক্তি করবেন না বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা নিজেই।