ক্রীড়াঙ্গনে ‘গুড গভর্নেন্স’ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, “কোনো বিশেষ ফেডারেশনের জন্য নয়, ক্রীড়ার সকল ক্ষেত্রেই গুড গভর্নেন্স নিশ্চিত করা হবে। আর যারা ব্যত্যয় ঘটাবে তারা অবশ্যই পরবর্তীতে সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা পাবে না।”
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও হকি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফুটবলকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা উল্লেখ করে পাপন বলেন, “আমাদের নারী ফুটবলাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন করছে। পুরুষরাও ভালো করছে। তারা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ফুটবলে কিছু সমস্যা রয়েছে। ফুটবল ফেডারেশনের মাঠ সংকট রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন ও সংস্কার কাজ চলমান। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এটি সমাপ্তির জন্য একটা ডেডলাইন রয়েছে। এটি যেন আর বিলম্ব না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকব। ইতোমধ্যে আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছি। তারপরও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রকৃত চিত্র সশরীরে দেখতে চাই। দেখে এসে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারব।”
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পাশাপাশি কমলাপুর স্টেডিয়ামও পরিদর্শনের কথা জানিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “কমলাপুর স্টেডিয়ামে আপগ্রেডের বিষয়টিও আমরা ভাবছি। কমলাপুর স্টেডিয়াম যদি আরও উন্নত করা যায় তাহলে সেখানেও ফুটবল ফেডারেশন অনেক টুর্নামেন্ট বা নানাভাবে ব্যবহার করতে পারে।”
ফুটবল ফেডারেশনের প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে পাপন বলেন, “ফুটবলের ব্যাপ্তি অত্যন্ত বেশি। দেশি-বিদেশে খেলায় অংশগ্রহণে নানা ব্যয়। ফলে তাদের বাজেটের চাহিদাও বেশি থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে নিতে হবে।”
হকিকে দেশের আরেক সম্ভাবনাময় খেলা উল্লেখ করে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “হকির সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু বিষয় নির্ধারণ করেছি। যেগুলো করতে হবে। স্বল্প ও মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি। হকি ফেডারেশন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ইনডোর হকির ব্যবস্থা করতে চায়। আমি বলেছি এটি করা সম্ভব। সেজন্য আমি হকি স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যাব। ইনডোর হকিতেও সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলার।”