আইপিএলে বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস দলে। বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ফিজ বৃহস্পতিবার ভারত থেকে দেশে ফেরেন। আইপিএলের মাঝপথে ফিরে আসার ফলে মোস্তাফিজ মাত্র এক কোটি টাকা পাচ্ছেন।
পুরো আসর খেললে ভিত্তিমূল্য দুই কোটি রুপি (বাংলাদেশি প্রায় ২,৬২,৫১,৪০২ টাকা), ম্যাচসেরা ও অন্যান্য অর্থ পুরস্কারসহ প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা পেতেন। সেখান থেকে ভারত সরকার এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পাওনা বাদ দিলেও প্রায় আড়াই কোটি টাকা পেতেন মোস্তাফিজ।
মাঝপথে আইপিএল ছাড়ায় প্রায় দেড় কোটি টাকার আর্থিকসহ আরও চার ধরনের ক্ষতি হয়েছে মোস্তাফিজের।
প্রথমত, মোস্তাফিজ পুরো আসর খেললে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জুনে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চমৎকার প্রস্তুতি নিতে পারতেন। কারণ, আইপিএলের প্রায় প্রতিটি দলেই রয়েছেন বিশ্বের সব খ্যাতিমান টি-টোয়েন্টি ব্যাটার ও বোলার। যেটা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হলো।
দ্বিতীয়ত, মোস্তাফিজ ৯ ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়ে ফিরে আসার সময় পর্যন্ত ছিলেন শীর্ষ স্থানে। শেষ পর্যন্ত তিনি শীর্ষে থাকতেও পারতেন। ফলে শুরু থেকেই যে পার্পেল ক্যাপ মোস্তাফিজের দখলে ছিল, সেটাও চূড়ান্তভাবে পেতে পারতেন।
তৃতীয়ত, আইপিএলে নিজের সর্বোচ্চ উইকেট লাভের রেকর্ড সৃষ্টি হতো। কারণ, আর মাত্র চারটি উইকেট পেলেই মোস্তাফিজ নিজের রেকর্ড ভাঙতেন। মোস্তাফিজ ২০১৬ সালে প্রথমবার আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট পান। এরপর ২০১৭ সালে এক ম্যাচ খেলে কোনো উইকেট পাননি। ২০১৮ সালে ৭ ম্যাচে ৭টি, ২০২১ সালে ১৪ ম্যাচে ১৪টি, ২০২২ সালে ৮ ম্যাচে ৮টি এবং ২০২৩ সালে ২ ম্যাচে ১টি উইকেট লাভ করেন। এবার ৯ ম্যাচে ১৪টি উইকেট পান।
সবমিলে শুধু আর্থিকই নয়, অন্য কয়েকটি ক্ষতি হলো মাঝপথে আইপিএল ছেড়ে তার দেশে ফিরে আসায়।