সাফ শিরোপা জিতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাদের অভিনন্দন জানাতে উদগ্রীব ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে পথে পথে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও সাবিনাদের অভিনন্দন জানাতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে অনেকটা হতাশ ফুটবলভক্তরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেলে বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) যাওয়ার জন্য ছাদখোলা বাসে রওনা দিয়েছিল সাফ নারী ফুটবলের বিজয়ীরা। তাদের একনজর দেখতে ও অভিনন্দন জানাতে পথে বিভিন্ন পদচারী সেতুতে অপেক্ষা করছিল শত শত মানুষ।
শুধু তাই নয়, সড়কের দুইপাশে অপেক্ষা করছিল অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী। তাদের একটাই উদ্দেশ্য, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসে সাবিনাদের বিজয়যাত্রা উপভোগ করা। সেই সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে বিজয়যাত্রায় মেয়েদের অভিনন্দন জানানো।
তবে শেষ অবধি সেটা আর সম্ভব হয়নি। কারণ, বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে হঠাৎ করেই সাবিনাদের ছাদখোলা বাস উঠে যায় এক্সপেসওয়েতে। ফলে বিজয়যাত্রায় সাধারণ মানুষ ও ফুটবলপ্রেমীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকেনি।
কেন সাবিনাদের বাস এক্সপ্রেসওয়েতে উঠল আর কেনই বা সাধারণ মানুষকে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে সাবিনাদের অভিনন্দন জানানোর সুযোগ দেওয়া হলো না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সাবিনাদের বিজয়যাত্রার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে যেন সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে, এ কারণে বিজয়যাত্রার পথ ঠিক করে দিয়েছে ডিএমপি। বাফুফের একটি সূত্রই এটা জানায়। সেই পথ বা রুট ছিল এ রকম—বিমানবন্দর> এক্সপ্রেসওয়ে> এফডিসি>সাত রাস্তার মোড়> মগবাজার ফ্লাইওভার> কাকরাইল> পল্টন> নটরডেম কলেজ> শাপলা চত্বর> বাফুফে ভবন।
যদিও সাবিনাদের ছাদখোলা বাস এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ থেমে যায়। প্রায় ১০ মিনিট থেমে থাকার পর ধীরে ধীরে চলতে থাকে। এ সময় এক্সপ্রেসওয়ের একটা অংশে যানজট তৈরি হয়। ফলে যে উদ্দেশে রুট বদলে দেওয়া হয়, সেটা সফল হয়নি।
একটি সূত্র বলছে, দুপুরে না খাওয়া বাংলাদেশের মেয়েরা দ্রুত বাফুফে ভবনে যেতে চেয়েছিল। তবে সংবাদকর্মীদের ভিডিও ধারণের জন্য বাসটি থামতে বাধ্য হয়। একটা সময় পর্যন্ত ধীরে ধীরে চলতেও বাধ্য হয়। বিজয়ী মেয়েদের বরণ করতে বাফুফে ভবনে উপস্থিত হন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।