এ যেন একটি পাখির দুই ডানা। এক ডানায় তৌহিদ হৃদয় আর অন্য ডানায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। তৌহিদও যেমন ব্যাট হাতে ছুটেই চলেছেন, তেমনি সিলেটও জিতেই চলেছে। টানা তিন ম্যাচে হৃদয় করলেন ফিফটি আর টানা চার ম্যাচে সিলেট তুলে নিয়ে চার জয়।
চলতি বিপিএল নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে সিলেটের জয় এসেছে ৬২ রানের ব্যবধানে। এই জয় নিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি বিপিএলে একমাত্র অপরাজিত দল মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ঢাকার মুখোমুখি হয়েছে সিলেট। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় দলটি। দলীয় ১৭ রানে ফিরে যান সিলেটের পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হারিস।
এরপর তিন নম্বরে নামা তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণ চালানো শুরু করেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লেতে ৫০ ও ১০ ওভার শেষে ঢাকার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৯১ রান।
৩৭তম বলে আসরে নিজের প্রথম ফিফটি করেন শান্ত। তবে ফিফটি করে আর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি তিনি। দলীয় ১০৫ রানে ফিরে যান তিনি। ফেরার আগে সাত চার ও দুই ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে।
চার নম্বরে নেমে জাকির হাসান বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও অন্যপ্রান্তে ততক্ষণে ঢাকার বোলারদের তুলোধনা করা শুরু করেছেন হৃদয়। মাঝে মুশফিক-পেরেরা ছোট্ট ক্যামিও খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ৮৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন হৃদয়। যেখানে সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। শেষদিকে চার বলে সাত রানের ক্যামিও খেলেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি।
বড় রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। একে একে ফিরে যান দিলশান মুনাওরিয়া, আহমেদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকার।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন। মাত্র ৭.৪ ওভারে এই জুটি ঢাকার স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৭৭ রান।
কিন্তু দু’জনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেনি। দলীয় ১০৭ রানে ফিরে যান মিঠুন। যাওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস।
মিঠুন ফেরার পর মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারায় ঢাকা। উইকেটে এসে দ্রুতই বিদায় নেন উসমান গনি, আরিফুল হক ও তাসকিন আহমেদ। এই যাওয়ার আসার মিছিলের মধ্যে নাসিরকেও হারায় ঢাকা। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এই ম্যাচে এসেছে ৩৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। কার্যত এখানেই ঢাকার জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত আল আমিন আউট হলেই হার নিশ্চিত হয় ঢাকার। ফিল্ডিংয়ে চোট পেয়ে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি ঢাকার মুক্তার আলি।