সিদ্ধান্তটা যেন অবধারিতই ছিল, এতদিনে সেটাকেই বাস্তবে রুপ দিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারণ ফিঞ্চ। টেস্ট ও ওয়ানডে ছেড়েছেন অনেক আগেই। এবার বাকি থাকা টি-টোয়েন্টিকেও বিদায় বলে দিলেন তিনি। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও এখনই পুরোপুরি ক্রিকেটকে বিদায় বলছেন না ফিঞ্চ। মেলবোর্ন রেনিগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশ ও বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
গত বছর ঘরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই তার বিদায়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তখন বিগব্যাশে নিজের পারফর্মেন্স দেখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছিলেন ফিঞ্চ। বিগব্যাশের এবারের মৌসুমে শুরু ভালো না হলেও ৩৮.৯০ গড়ে ৪২৮ আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি।
তবে বিগব্যাশে ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন ফিঞ্চ। বিদায়ী বার্তায় দেড় বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এখনই পরিকল্পনা করার জন্য নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
ফিঞ্চ বলেন, “২০২৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি খেলে যাব না বোঝার পর মনে হলো সরে দাঁড়ানোর জন্য এবং ওই আসরের জন্য পরিকল্পনা করা ও দল গড়ে তোলার সঠিক সময় এখনই।”
ফিঞ্চ আরও বলেন “আমার পরিবার, বিশেষ করে স্ত্রী অ্যামি, আমার সব সতীর্থ, ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে যেতে সহায়তা করায়। সব ভক্ত-সমর্থককের প্রতিও বিশাল কৃতজ্ঞতা, যারা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পুরোটায় আমার পাশে থেকেছেন।”
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে শততম ম্যাচ খেলা (১০৩) ফিঞ্চের ব্যাট হাতে সংগ্রহ ১৪২.৫৩ স্ট্রাইক রেটে ৩ হাজার ১২০ রান। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা তার ১৭২ রানে ইনিংস টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় ফিঞ্চের এই ফরম্যাটে ব্যাট হাতে সংগ্রহ ১৪৬ ম্যাচে ৫ হাজার ৪০৬ রান। ওয়ানডেতে ১৭টি সেঞ্চুরি ও ৩০টি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন ফিঞ্চ। যেখানে দুই ফিফটিতে ২৭৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।