খুব যে শক্তিশালী দল, তা নয়। খুব যে নামী-দামী খেলোয়াড় নিয়ে গড়া দল, তা নয়। তারপরও পরাজয় যেন ভুলেই গিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। কোনো দলই তাদের সামনে পাত্তা পাচ্ছিল না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে নুরুল হাসান সোহানের দল রংপুর।
শেষ পর্যন্ত রংপুরের কপালে পরাজয়ের তিলক পড়িয়ে দিল তাসকিন আহমেদের দল দুর্বার রাজশাহী। ২৪ রানের জয়ে নিজেদের প্লে-অফের সম্ভাবনাও জোরালো করলো রাজশাহী। নয় ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে উঠে এসেছে তারা।
লক্ষ্য ছিল ১৭১ রান। রান তাড়া শুরু থেকেই ধুঁকেছে রংপুর। ১৫ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন ইরফান শুক্কুর (০)। চতুর্থ ওভারে এসএম মেহরুব টানা দুই বলে ফেরান স্টিভেন টেলর (৪) ও ইফতিখার আহমেদকে (০)।
১৩ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা খুশদিল শাহও। সাইফ হাসান তবু চালিয়ে খেলছিলেন। ২৯ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৪৩ রান করে শফিউল ইসলামের শিকার হন তিনি। শেখ মেহেদী ১৩ বল খেলে করেন ৮ রান। একশর আগে (৯১ রানে) ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রংপুর।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান আরও একবার দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু তার ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪১ রান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শেষদিকে ১৪ বলে ২৩ রানে পরাজয়ের ব্যবধান কমানো সম্ভব হয়েছে। ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় রংপুর।
রায়ান বার্ল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার তাসকিন এবং এসএম মেহরুবের।
এর আগে ১৬ ওভারের খেলা শেষে দুর্বার রাজশাহীর রান ছিল ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। রানরেট ৯.৫৩। আর শেষ ৪ ওভারে রান হয়েছে মাত্র ১৭, উইকেটে হারিয়েছে ৫টি। রানরেট ৪.২৫। অর্থাৎ উড়ন্ত শুরু করা রাজশাহীর রান তোলার লাগাম শেষ দিকে বেশ ভালোভাবেই টেনে ধরে রংপুর রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী তোলে ৯ উইকেটে ১৭০ রান।
চট্টগ্রামে এ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫ বলে ২৪ রান তোলেন মোহাম্মদ হারিস ও সাব্বির ইসলাম। ১২ বলে ১৯ রান করেন ওপেনার হারিস।
দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি করেন সাব্বির ও এনামুল হক বিজয়। ১৯ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সাব্বির। নতুন ব্যাটার রায়ান বার্ল প্রথম বলেই আউট হন।
চতুর্থ উইকেটে ৫০ বলে ৭৬ রানের জুটি করেন বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। ৩২ বলে ৬০ রানের (২ চার ও ৬ ছক্কা) ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরত যান ইয়াসির। এক বল বিরতি দিয়েই আউট হন বিজয়ও। এরপরই দ্রুত ভেঙে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং। অবশেষে রাজশাহী থামে ১৭০ রানে।
রংপুরের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন আকিভ জাভেদ ও খুশদিল শাহ।
-20250123144702.jpg)
