পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় ইডেন গার্ডেন্সে মাঠে গড়াবে ভারত ও ইংল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
দু’দলই এখন কলকাতা শহরে। পুরোদমে চলছে তাদের অনুশীলন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হারের পর এখন ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো লক্ষ্য ভারতের। তবে লড়াই দিতে প্রস্তুত ইংল্যান্ডও।
আগামী মাসে শুরু হতে চলেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আয়োজিত হবে পাকিস্তান এবং দুবাইয়ে। সেই কারণে তার আগে উপমহাদেশীয় উইকেটে নিজেদের স্পিন শক্তিকে যাচাই করে নেওয়ার এটা ভালো সুযোগ ইংরেজদের কাছে। নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে প্রথম ম্যাচের আগে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইংল্যান্ড দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
তিনি এদিন স্পষ্ট করেন যে, ‘জস বাটলারকে এবার উইকেটের পিছনে কিপিং করতে দেখা যাবে না। তার বদলে মাঠে অধিনায়ক হিসাবে থাকবেন তিনি, যাতে বোলারদের সঙ্গে কথা বলতে সুবিধা হয় সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।’
ইংল্যান্ডের কাছে উইকেটকিপার হিসাবে অপশন রয়েছে ফিল সল্ট এবং জেমি স্মিথ। এদের দু’জনের একজনকে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় দেখা যাবে ইডেনে।
সল্ট গত ১৮ মাস ধরে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। আশা করা যায় যে তিনি অধিনায়ক বাটলারের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন। সোমবার ম্যাককালাম বলেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই যে এই সিরিজে সে (বাটলার) উইকেটকিপিং করবে না। ও মাঠে অধিনায়ক হিসাবে থাকবে। এটা ভালো হবে, কারণ সে বোলারের সঙ্গে শেষ মুহূর্তেও সামনে গিয়ে কথা বলতে পারবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে ভালো অপশন (উইকেটকিপিং) রয়েছে আরও। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো। আমাদের হাতে অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যারা পজিশন নিয়ে ফ্লেক্সিবল।’
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন বাটলার। ৩১.৮৩ গড়ে ১২৫ রান করেছিলেন তিনি, স্ট্রাইকরেট ছিল ১৬৮.৯২। তার অধিনায়কত্বে দল ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। যদিও অধিনায়ক হিসাবে শেষ দুটি আইসিসি ইভেন্টে ভালো ফল করতে পারেননি বাটলার। তবে ম্যাককালাম আশা করছেন যে আগামী কয়েক বছরে বাটলার তার নেতৃত্বদানের বিষয়টা উপভোগ করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে দল পেয়েছি এবং আমাদের সামনে যে সুযোগটি আছে তা নিয়ে ও উচ্ছ্বসিত। আমি নিশ্চিত যে আমরা আগামী কয়েক বছর জস উইকেটের পেছনে না থাকার বিষয়টি উপভোগ করবে।’