বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। ২০১৯ বিশ্বকাপে যে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল, সেই ইংলিশদের হেসে-খেলে হারিয়ে এবারের যাত্রাটা শুরু করে কিউইরা। এরপর নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ-আফগানিস্তানরা তাদের সামনে পাত্তাই পাইনি। টানা চার ম্যাচ জেতা দলটি এরপর হেরে বসে পরের টানা চার ম্যাচ। শঙ্কা জাগে সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে। কিন্তু লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সেমির টিকিট পকেটে পুড়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
এবার তাদের মিশন সেমিফাইনাল, যেখানে প্রতিপক্ষ ভারত। যারা গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ হারেনি। গ্রুপ পর্বে আবার ভারতের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছিল কিউইরা। তবে, সেগুলো সব অতীত। ভারতের বিপক্ষে নতুন ভাবে শুরু করতে চায় নিউজিল্যান্ড।
গতকাল (১৩ নভেম্বর) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষ করে নিউজিল্যান্ড পেসার লকি ফার্গুসন বলেন, “আমাদের কয়েকটি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, সেগুলোর ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। আমরা আবার শূন্য থেকেই শুরু করব। বুধবার কঠিন একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব।”
২০১৯ বিশ্বকাপে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে পা রাখে নিউজিল্যান্ড। সেই দুঃসহ স্মৃতি টিম ইন্ডিয়া ভুলতে না পারলেও ভুলে গেছে কিউইরা। নিউজিল্যান্ড পেসার লকি ফার্গুসন বলেন, “এসব প্রতিশোধ কিংবা রাইভালরি বলতে কিছু নেই। অতীতে কি হয়েছে, মাঠে ক্রিকেটাররা ওসব মনে রাখে না। আমরা বর্তমান নিয়ে ভাবছি। কীভাবে ভারতকে হারানো যায় সেই পরিকল্পনা করছি।”
ভারতের পেস বোলারদের নিয়ে প্রশংসায় করলেন কিউই এই পেসার। তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে ভারতের পেস বোলিং বেশি শক্তিশালী। একঝাঁক ক্রিকেটার একসঙ্গে ফর্মে থাকলে এমনটাই হয়। তাছাড়া ওরা হোম অ্যাডভান্টেজকে দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে।”
এ সময় লকি আরও বলেন, “প্রতিপক্ষ কতটা শক্তিশালী সেটা নিয়ে ভাবছি না। চার সেমিফাইনালিস্টই তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এসেছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতো এগোতে চাই। প্রথমবারের মত এতটা সমর্থন পাচ্ছি ভারতে। রাচীন রবীন্দ্র এজন্য ধন্যবাদ পাবে।”
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শুধু নয়, ভারত কখনই আইসিসির কোনো ইভেন্টের নকআউট স্টেজে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। তবে এবার সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে নতুন কিছু রচনা করতেই চাইবেন রোহিত শর্মারা। কারণ বিশ্বকাপটা তো হচ্ছে তাদের মাঠে। যেখানে পাবে সমর্থকদের সাপোর্ট। তাই বলাই যায় কিউইদের লড়তে হবে ভারতের ১১ ক্রিকেটারের সঙ্গে ওয়াংখেড়েতে উপস্থিত হতে যাওয়া প্রায় ৩৪ হাজার দর্শকদের বিপক্ষেও।