হারলেই বিদায়, মিলবে না এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের টিকিট। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে মঙ্গলবার(২২ আগস্ট) ভারতের ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামে আবাহনী লিমিটেড। প্রথমার্ধে দারুণ খেলেও আবাহনী শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের কাছে হেরে যায় ৩-১ গোলে।
শুরু থেকেই আবাহনীর খেলোয়াড়রা মোহনবাগানের ক্লাবের সঙে তাল মিলিয়ে দারুণ খেলে যান। তবে ম্যাচের প্রথম আক্রমণে যায় মোহন বাগান। ম্যাচের ২ মিনিটে লেফট উইং ধরে বাগান খেলোয়াড় কোলাসো আবাহনীর অর্ধে পৌঁছে যান। বল ঠেলে দেন বক্সে কামিংসের পায়ে। জোরালো শট নিতে পারেননি কামিংস। সহজেই আক্রমণ প্রতিহত করেন আবাহনী গোলকিপার।
এরপর আক্রমণে ওঠে আবাহনীও। ১৭ মিনিটের মাথায় বিশালের ভুলের সুযোগ নিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে নেন কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল।
শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পরা মোহনবাগান ম্যাচে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা চালায়। কিন্তু ভুলভাল পাসে তাদের খেলা বারবার ছন্দ হারাচ্ছিল।
৩৬ মিনিট পেনাল্টি আদায় করে নিল বাগান। বক্সের মধ্যে মোহনবাগান ফুটবলারকে ফাউল করেন আবাহনীর ত্রীপুরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে কলকাতার দলটিকে সমতায় ফেরালেন জেসন কামিংস।
প্রথম গোলের পর ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে মোহনবাগান। কিন্তু গোলের কাছে গিয়েও খালি হাতে বারবার ফিরতে হয় তাদের। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটের সময় দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেন কামিংস। কিন্তু বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল পেয়ে বসেছিল আবাহনী। কাউন্টার অ্যাটাকে আবাহনীর আক্রমণ সাইড পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
প্রথমার্ধ শেষে খেলার ফলাফল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে ওঠেন জুয়ান ফেরান্দোর শিষ্যরা। আবাহনীর শিবিরে আক্রমণের পসড়া সাজিয়ে বসে তারা।
৫৮ মিনিটে লিড পেয়ে যায় স্বাগতিক মোহন বাগান।বুমৌসের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান আবাহনীর মিলাদ সুলেমানি।
এর মিনিট দুয়েকপর আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মোহনবাগানকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেন আর্মান্দো সাদিকু।
এরপর দুদলিই বেশ কয়েকটি আক্রমন চালায়। কিন্তু গোলের দেখা পাইনি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় পেয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের টিকিট নিশ্চিত করল মোহনবাগান।