কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছিল মরক্কো। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল মরক্কো। স্পেন ও পর্তুগালের মত দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নেয় আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েখদের দল। এবারের আফ্রিকান নেশন্স কাপেও তারা ছিল ফেবারিট। কিন্তু এই দলটিই বিদায় নিয়েছে শেষষোল থেকে।
মঙ্গলবার রাতের এক ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ০-২ গোলের হারে বিদায় নিয়েছে মরক্কো।
মরক্কোর বিদায়ের মধ্য দিয়ে আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আরও একটি ফেবারিট দলের বিদায় নিশ্চিত হলো। এর আগে সেনেগাল ও মিসর বিদায় নিয়েছে। বিদায় নিয়েছে আন্দ্রে ওনানার ক্যামেরুনও। টুর্নামেন্টে বড় দলের মধ্যে বাকি আছে কেবল নাইজেরিয়া ও আইভরিকোস্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মরক্কোকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন তাদের পরিক্ষীত তারকারাই। বিশ্বকাপে পর্তুগালকে বিদায় করে দেওয়া ইউসুফ আল-নাসেরি মিস করেছেন সহজ সুযোগ। নয়ত ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই লিড পেতে পারতো আফ্রিকান সিংহরা। অবশ্য প্রথমার্ধে মরক্কো গোল করলেও তা বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে।
প্রথমার্ধে খোলসবন্দী থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয়ার্ধে চড়াও হয় মরক্কোর ওপর। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ধাক্কা আসে এভিডেন্স মাকগোপার গোলে। তার আগেও সহজ দুই সুযোগ মিস করে আশরাফ হাকিমিরা। সেই শাস্তি দিতেই যেন ৫৬ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকার এই গোল। অনেকটা এগিয়ে এসেও বল ঠেকাতে পারেননি মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর জন্য।
মরক্কোর বিদায়ে নিজেকে দোষ দিতেই পারেন দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফ হাকিমির জন্য। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে বল মেরেছেন বাইরে। গোলটি করতে পারলে তখনই সমতায় ফিরতে পারত মরক্কো। এরপরই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা সোফিয়ান আমারবাতও। সেই ফ্রিকিক থেকেই গোল করেন তেবোহো মোকোয়েনা।