বার বার অধিনায়ক পরিবর্তন আর খেলোয়াড় বাদ দেওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেটে চলছে তোড়পাড়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়াগুলোও এ নিয়ে সরব।
‘পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়বেন কিংবা পড়েছেন বাবর আজম’, গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তানি মিডিয়াসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়াসমূহে বহুল প্রচারিত খবর এটি। তবে শেষ পর্যন্ত বাবরের বাদ পড়ার খবরটি শুনে হজম করতে পারেননি তারকা ক্রিকেটার ফখর জামান। বাবরকে বাদ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘প্রতিবাদ’ জানিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার।
বাবর ইস্যুতে ভারতীয় তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলিকে টেনে এনে তুলেছিলেন প্রশ্ন। তবে ফখরের প্রশ্ন তোলাটা ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
চলমান পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের দল থেকে ৪ জনকে বাদ দিয়েছে নতুনভাবে গঠন করা নির্বাচক কমিটি। বাবরের সঙ্গে বাদ পড়াদের দলে আছেন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও সরফরাজ আহমেদ। পিসিবি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
বাবরের বাদ পড়ার খবরে ফখর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘বাবর আজমকে বাদ দেয়া হচ্ছে বলে শুনছি, এটা উদ্বেগজনক। ভারত তো বিরাট কোহলিকে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের খারাপ সময়ের জন্য বেঞ্চে বসায়নি। ওই সময় কোহলির গড় ছিল যথাক্রমে ১৯.৩৩, ২৮.২১ এবং ২৬.৫০। আমরা যদি দলের প্রধান ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে রাখার চিন্তা করি, যে কি না তর্কযোগ্যভাবে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান, এটা দলের মধ্যে গভীর নেতিবাচক বার্তা দেয়। এখনো প্যানিক বাটনে চাপ দেওয়াটা এড়ানোর সময় আছে। প্রধান খেলোয়াড়দের অবমূল্যায়ন না করে তাদের রক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে আমাদের।’
তবে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ফখরের প্রকাশ্য মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়েছে পিসিবি। বিশেষ করে তার বলার ধরনে। সূত্র জানায়, নতুন নির্বাচক আজহার আলী ফখরের কাছে বাবরকে বিশ্রাম দেয়া নিয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। আজহার পরিষ্কার করেই বলেছেন, ‘বাবর পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ভালোমতোই আছেন।’