ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যে বাড়তি উন্মাদনা, উত্তেজনা থাকে সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই একটি ম্যাচকে ঘিরে দর্শক, আয়োজক, কার্মাশিয়াল ব্যক্তিরা অথবা ক্রিকেটারদের মধ্যে আলাদা আগ্রহ থাকে। এই বাড়তি আগ্রহকে পুঁজি করে একটি কুচক্রি মহল ভারত-পাকিস্তানের ভুয়া টিকিট বিক্রি করে প্রায় ৩ লাখ রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে এই কুচক্রি মহলকে আহমেদাবাদ পুলিশ আটক করেছে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চাহিদা আছে অনেক। যার কারণে এই ম্যাচের জন্যই নাকি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করে বিসিসিআই, এমনটা গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ এই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে শনিবার (১৪ অক্টোবর)। রোহিত শর্মা, বাবর আজমদের শো দেখা যাবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। ১ লক্ষ ৩২ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামের টিকিট বেশির ভাগ আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।
তবে ম্যাচকে সামনে রেখে আয়োজক কমিটি নতুন করে ১৪ হাজার টিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেয়। এর পরেই এর সুবিধা নিতে কাজ শুরু করেন বেশ কিছু তরুণ। ভুয়া টিকিটের মাধ্যমে সোয়া তিন লাখ টাকা আয়ও করেছেন তারা। যদিও সেই অর্থ হজম করা হয়নি তাদের। এর আগেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এই চক্রের সবাই।
আহমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার চৈতন্য মান্দলিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চৈতন্য বলেন, “অপরাধ বিভাগের সদস্যরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তাদের নাম জেমিন প্রজাপতি, ধ্রুমিল ঠাকুর, রাজবীর ঠাকুর ও কুশ মিনা। জেমিন, ধ্রুমিল ও রাজবীরের বয়স ১৮ বছর, কুশের বয়স ২১। তাদের বাড়ি আহমেদাবাদ ও গান্ধীনগরে।”
জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি আসল টিকিট কিনেছিল। এরপর অভিযুক্ত একজনের দোকানে সেই আসল টিকিটটি স্ক্যান করা হয়। সেই স্ক্যান কপি ফটোশপে নিয়ে ২০০টি কপি তৈরি করে। এরপর সেই ২০০টি ভুয়া টিকিট বিক্রি করে তারা। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৫০টি ভুয়া টিকিট বিক্রি করে। যার প্রতিটির মূল্য ছিল ২ হাজার থেকে ২০ হাজার রুপি।এর ফলে তাদের ভুয়া টিকিট বিক্রির অর্থ দাড়ায় প্রায় ৩ লাখ রুপি।